করোনা ছাপিয়ে আম্পান: মুহূর্তেই গৃহহীন হাজার হাজার পরিবার
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২১ মে ২০২০, ১০:১৩ AM , আপডেট: ২১ মে ২০২০, ১০:১৩ AM
বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ জানাচ্ছে, ঘুর্ণিঝড় আম্পান এখন রাজশাহীতে অবস্থান করছে।সেখানে ক্ষমতা হারিয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে সুপার সাইক্লোনটি। তবে ইতোমধ্যেই সাইক্লোনটি হাজার হাজার হাজার মানুষকে ঘরবাড়িহীন করে করে ফেলেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, তারা যে কোন সময়ে মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে দক্ষিণাঞ্চলীয় সাতক্ষীরা এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ঘূর্ণিঝড়টি।
জানা যায়, নোয়াখালীর হাতিয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের তোড়ে বাঁধ ভেঙে বরগুনায় আটটি গ্রাম প্লাবিত হয়। বরগুনার প্রধান তিনটি নদীর পানি দুপুরেই বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। জোয়ারের তোড়ে বাঁধ ভেঙে দুই উপজেলার আট গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। আমতলী, তালতলী, পাথরঘাটা ও বরগুনা সদরের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব অঞ্চল থেকে প্রশাসন ইতিমধ্যে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে শুরু করেছে।
পায়রা নদীর অধিক উচ্চতার জোয়ারে বরগুনা সদর উপজেলার মাইঠা এলাকার বাঁধের একটি অংশের অন্তত ২০ ফুট বিলীন হয়। এখানে নতুন একটি জলকপাট (স্লুইসগেট) তৈরি করা হচ্ছিল। সকাল ৬টার দিকে বাঁধ ভেঙে মাইঠা, রায়েরতবক, বড় লবণগোলা গ্রাম প্লাবিত হয়। বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাণীপুর গ্রামের তিনটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় দক্ষিণ রাণীপুর, ভাগোলের পার, গ্রেদ লক্ষ্মীপুরা, লক্ষ্মীপুরা ও বিবিচিনি ইউনিয়নের রাণীপুর গ্রাম।
দুপুরে মাইঠা এলাকার বাসিন্দা বাদল পঞ্চায়েত বলেন, পানি ঢুকে পড়ায় এলাকার রবি ফসলখেত এরই মধ্যে প্লাবিত হয়ে গেছে। এখনো পানি ঢুকছে। সকালেই বরগুনা সদরের ফুলঝুরি এলাকায় বাঁধ উপচে গ্রামে পানি ঢুকে পড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এলাকার মানুষ।
বরগুনার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীব আহসান জানান, ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধগুলো মেরামত করার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্লাবিত গ্রামগুলোর বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
বাগেরহাটের সুন্দরবনসংলগ্ন শরণখোলা উপজেলার সাউথখালী ও রায়েন্দা এলাকায় গতকাল দুপুরেই বেড়িবাঁধ উপচে পানি ঢুকে পড়ে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাউথখালী ইউনিয়নের গাবতলা গ্রামের আশার আলো মসজিদসংলগ্ন এলাকায় বাঁধের অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি ঢোকে। রায়েন্দা বাজার এলাকায় পানির চাপে বাঁধে ফাটল দেখা দিলে প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষ মাটি দিয়ে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করে।
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, পদ্মপুকুর ও আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের ১৫টি স্থানের অবস্থা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ইতিমধ্যে কয়েকটি স্থান বাঁধের ফাটল দিয়ে এলাকায় পানি ঢুকছে।
গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, পদ্মপুকুর ইউনিয়নের অন্তত ১১টি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় পানিতে তলিয়েছে অন্তত ১২টি গ্রাম। লালুয়া ইউনিয়নের চাড়িপাড়া গ্রামের রাস্তা, খেত, বাড়িঘর সব তলিয়ে গেছে। যেদিকে চোখ যায়, শুধু পানি আর পানি। মানুষজন যে রান্না করে খাবে, সে অবস্থা পর্যন্ত নেই। এই গ্রাম রাবনাবাদ নদের পাড়ে অবস্থিত। গ্রামের পাশ দিয়ে একসময় ছিল বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ। ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় এ বাঁধের ক্ষতি হয়। এরপর কয়েক দফা মেরামত করা হয়। পরে বাঁধটি নষ্ট হয়ে যায়। যার কারণে আম্পান আঘাত হানার আগেই অনায়াসে পানি ঢুকতে শুরু করে। শুধু চাড়িপাড়া গ্রাম নয়; পাশের চৌধুরীপাড়া, পশুরবুনিয়া, নাওয়াপাড়া, বড় পাঁচ নং, ছোট পাঁচ নং, ধঞ্জুপাড়া, মঞ্জুপাড়া, চান্দুপাড়া, চর চান্দুপাড়া, বুড়োজালিয়া, মুন্সীপাড়া গ্রামও পানিতে তলিয়ে গেছে। সাগর মোহনার রাবনাবাদ নদের পাড়ের এসব গ্রামের ৫০-৬০টি বাড়িঘর জোয়ারের চাপে ভেঙে গেছে। চাড়িপাড়া গ্রামের মানুষজনের চলাচলের আড়াই কিলোমিটার ইট বিছানো সড়কটিরও মাটি, ইট খসে পড়েছে। সড়কটির ওপর দিয়ে এখন ৩-৪ ফুট পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
বড় ক্ষতি সাতক্ষীরায়: সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল সকাল বেলা বলেন, অন্ততঃ চারটি উপজেলার ২৩টি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তিনি সঠিক কোন হিসেব দিতে পারেননি, জানান, দুপুর নাগাদ একটা চিত্র পাওয়া যাবে। তবে এখন পর্যন্ত যে ধরণের খবরাখবর পাচ্ছেন, তাতে অন্ততঃ ৫/৭টি পয়েন্ট দিয়ে পানি প্রবেশ করে বহু চিংড়ি ঘের ও বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চল তলিয়ে গেছে। এছাড়া বহু কাঁচা ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙে পড়ার খবর তিনি দিচ্ছেন।
সাতক্ষীরায় আমেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। রাজশাহী অঞ্চলের বাইরে সাতক্ষীরাতেও আমের বড় ধরণের ফলন হয়।গাছপালা পড়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। দমকল কর্মীরা রাস্তা থেকে ভাঙা গাছপালা সরিয়ে সড়ক যোগাযোগ পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু করছেন বলে জানাচ্ছেন জেলা প্রশাসক। সাতক্ষীরায় এখন পর্যন্ত সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্ত চারটি উপজেলা হচ্ছে - শ্যামনগর, আশাশুনি, কালিগঞ্জ এবং সাতক্ষীরা সদর।
ঘূর্ণিঝড়টি মূলতঃ বাংলাদেশে প্রবেশ করে শ্যামনগরের সর্ব দক্ষিণের লোকালয় মুন্সীগঞ্জ সংলগ্ন সুন্দরবন দিয়ে। এখান থেকে কিছুটা দক্ষিণে এগোলেই সুন্দরবনের ভারতীয় অংশ শুরু। মুন্সীগঞ্জের সুন্দরবন সংলগ্ন গাবুরার বাসিন্দা আব্দুল্লাহ আল মামুন একটি চিংড়ি ঘেরের মালিক।
তিনি জানান, কয়েক একর আকারের তার এই চিংড়ি ঘেরটি পানিতে তলিয়ে গেছে। তার গ্রামের কয়েকশো ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানাচ্ছিলেন তিনি। তিনি আরো বলছিলেন, তার গ্রাম সংলগ্ন নদীটির অন্ততঃ দুটি পয়েন্ট থেকে বাঁধ ভেঙে গেছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময়ও পয়েন্ট দুটি দিয়ে পানি প্রবেশ অব্যহত ছিলো।
আল মামুন বলছিলেন, এখনই সংস্কার করা না হলে ভাঙা এই পয়েন্ট দিয়ে ঢোকা পানি সংলগ্ন গ্রামগুলোর বাড়িঘরগুলোকেও ডুবিয়ে দেবে। স্থানীয় অনলাইন পত্রিকা ডেইলি সাতক্ষীরা'র সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম বলেন, এখন পর্যন্ত তিনি যা হিসেব করেছেন তাতে হাজার হাজার মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে গৃহহীন হয়ে পড়েছেন।
যশোরে গাছের নিচে চাপা পড়ে মা-মেয়ের মৃত্যু: ১৩৫ কিলোমিটার বেগে যশোরে তাণ্ডব চালায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। বুধবার (২০ মে) সারাদিন থেমে থেমে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত হলেও রাতে প্রচণ্ড বেগে ঝড় বয়ে যায়। রাত ৮টার পর থেকে বাড়তে থাকে ঝড়ের গতিবেগ।
যশোরে সর্বোচ্চ ১৩৫ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হওয়ার খবর দিয়েছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। গোটা জেলার বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা, ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। চৌগাছায় গাছ চাপা পড়ে মা ও মেয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলা প্রস্তুতির অংশ হিসেবে যশোরের প্রাথমিক স্কুলগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খুলে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রয়োজনে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মাধ্যমিক স্কুল ভবনও ব্যবহারের নির্দেশনা রয়েছে।
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানায়, বুধবার মধ্যরাত ১২টার পর যশোরের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ১৩৫ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যায়। সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় ঝড়ো হওয়া। রাত ৮টার পর থেকে ঝড়ের গতিবেগ ১০০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায়।
এদিকে, ঝড়ে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিপুল পরিমাণ গাছপালা ও ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। শহরের খড়কি এলাকার বেশকিছু ঘরের টিন উড়ে গেছে। রাতে গোটা শহরের রাস্তাঘাটে ছড়িয়ে রয়েছে দোকানের সাইনবোর্ড, টিনসহ বিভিন্ন ছিন্নভিন্ন জিনিসপত্র। চৌগাছায় গাছচাপা পড়ে মা ও মেয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
পটুয়াখালীতে শিশুসহ নিহত ২: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে পটুয়াখালীতে দুজন নিহত হয়েছেন। বুধবার (২০ মে) সন্ধ্যায় গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি এলাকায় ঝড়ো হাওয়ায় গাছের ডাল ভেঙে পড়ে রাসেদ (৬) নামে এক শিশু এবং কলাপাড়ায় মানুষকে সচেতন করতে গিয়ে ধানখালীর ছৈলাবুনিয়া এলাকায় খালে নৌকা ডুবে নিখোজঁ শাহ আলম নামে এক স্বেচ্ছাসেবীর মৃত্যু হয়েছে।
গলাচিপা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, সন্ধ্যায় গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি এলাকায় ঝড়ে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে ছয় বছরের শিশু রাসেদ মারা যায়।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান, কলাপাড়ায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফান মোকাবিলায় মানুষকে সচেতন করতে গিয়ে সকালে ধানখালীর ছৈলাবুনিয়া এলাকায় খালে নৌকা ডুবে নিখোজঁ স্বেচ্ছাসেবী শাহআলমের মরদেহ সন্ধ্যায় উদ্ধার করে ডুবুরি দল।
ভোলায় গাছ পড়ে ও ট্রলারডুবিতে দুজনের মৃত্যু: ভোলায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়ায় গাছ পড়ে মো. ছিদ্দিক ফকির (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চর মানিকা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের চর কচ্ছপিয়া গ্রামের বাসিন্দা। বুধবার (২০ মে) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
অন্যদিকে, ঝড়ের কবলে পড়ে ভোলায় মাঝিসহ ১১ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলার ডুবে যায়। এতে রফিকুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার এ ঘটনা ঘটে। মৃত রফিকুল ইসলাম ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসাননগর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাসাননগর গ্রামের আবু কালামের ছেলে।
দক্ষিণ আইচা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুন অর রশিদ জানান, ছিদ্দিক ফকির দুপুরে তার বাড়ি থেকে একটি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল করে বয়স্ক ভাতার টাকা তুলতে দক্ষিণ আইচায় রওনা হন। দক্ষিণ আইচার কাছাকাছি আসলে প্রচণ্ড ঝড়ো বাতাসে রাস্তার পাশের একটি গাছ ভেঙে তার ওপর পড়ে। এতে বৃদ্ধসহ মোটরসাইকেল চালক আহত হন।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাদের উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ছিদ্দিক ফকিরকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত মোটরসাইকেল চালক সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রফিকুল ইসলামের মৃত্যুর বিষয়ে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বলেন, মজুচৌধুরীরহাট থেকে মা-স্ত্রীকে নিয়ে ভোলায় আসছিলেন রফিকুল। ট্রলারে ১১ জন ছিলেন। সবাইকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও রফিকুল ডুবে মারা যান।
সাতক্ষীরায় আম কুড়াতে গিয়ে নারীর মৃত্যু: সাতক্ষীরা শহরের সংগীতা মোড় এলাকায় আম কুড়াতে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই মধ্য বয়সী নারী শহরের কামালনগর এলাকার বাসিন্দা।
সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, ঝড়ের মধ্যে আম কুড়াতে গিয়ে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে। তবে তার নাম পরিচয় জানা যায়নি। এখনও রাত সাড়ে ৯টার দিকেও প্রচণ্ড গতিবেগে ঝড় চলছে বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি।
সন্দ্বীপে জোয়ারের পানিতে যুবকের মৃত্যু: দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে আম্ফান আসার আগেই জোয়ারের পানিতে ডুবে মো. সালাউদ্দিন (১৮) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়। দুপুরের দিকে সন্দ্বীপ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সন্দ্বীপ থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. সোলাইমান জানান, উপকূলে ঘাস কাটতে গিয়ে ওই যুবক জোয়ারের পানিতে পড়ে যান। পরে স্থানীয়রা তার মরদেহ উদ্ধার করে।
পিরোজপুরের একজনের মৃত্যু: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে দেয়াল চাপা পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলা শহরে মঠবাড়িয়া কলেজ এলাকায় বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান মঠবাড়িয়া থানার ওসি মো. মাসুদুজ্জামান।