যশোর-৬ আসনে বিএনপির মনোনয়নে বাদ পড়লেন শ্রাবণ

কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ
কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ  © সংগৃহীত

যশোর-৬ (কেশবপুর) সংসদীয় আসনে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন থেকে বাদ পড়েছেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। শেষ পর্যন্ত এ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও কেশবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদ।

বুধবার রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে আবুল হোসেন আজাদের হাতে মনোনয়নপত্র তুলে দেওয়া হয়। মনোনয়নপত্রে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাক্ষর রয়েছে।

এর আগে যশোর-৬ আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছিলেন কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ। প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়ার পর তিনি প্রায় দেড় মাস ধরে এলাকায় ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। তবে শেষ মুহূর্তে দলীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে শ্রাবণের পরিবর্তে আবুল হোসেন আজাদকে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হয়।

মনোনয়ন পরিবর্তনের খবরে শ্রাবণের সমর্থকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিলেও আবুল হোসেন আজাদের অনুসারীদের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার কথা জানিয়ে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করার ঘোষণা দেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আবুল হোসেন আজাদ দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে কেশবপুর বিএনপির দুঃসময়ে একজন পরীক্ষিত সংগঠক হিসেবে নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন। রাজনৈতিক হামলা-মামলার কঠিন সময়েও তিনি নির্যাতিত নেতাকর্মীদের জন্য সাহসী আশ্রয়স্থল হিসেবে ভূমিকা রেখেছেন।

স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে, কেশবপুরে বিএনপির সাংগঠনিক ভিত্তি সুদৃঢ় করতে আবুল হোসেন আজাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ত্যাগ, শ্রম ও সাংগঠনিক দক্ষতার মাধ্যমে তিনি দলকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে গেছেন। আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি সব সময় সক্রিয় ছিলেন বলে জানান তারা।

রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি সামাজিক দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রেও আবুল হোসেন আজাদ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। নিজস্ব অর্থায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও দলীয় কার্যালয় স্থাপন ছাড়াও নিজ জমিতে বিনামূল্যে দোকানঘর বরাদ্দ দিয়ে অসহায় মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। এসব মানবিক উদ্যোগ কেশবপুরবাসীর মধ্যে প্রশংসিত হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!