বরখাস্ত সৈনিক মো. সুমন মুন্সি © সংগৃহীত
কক্সবাজারের টেকনাফে র্যাব পরিচয়ে হাফিজ নামে একজনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করেছে। অপহরণকারীরা হচ্ছেন এক বরখাস্ত সেনা সদস্য ও দুইজন সন্ত্রাসী। এ ঘটনার মূলহোতা বরখাস্ত সেনা সদস্যের কাছ থেকে ১টি দেশি অস্ত্র, ৩ রাউন্ড গুলিসহ র্যাবের ইউনিফর্ম ও ওয়াকিটকি উদ্ধার করে র্যাব-১৫ সদস্যরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫ কক্সবাজারের মিডিয়া কর্মকর্তা সহকারী পুলিশ সুপার আ.ম. ফারুক। আটককৃত সন্ত্রাসীদের আইনি প্রক্রিয়া শেষে পুলিশে সোপর্দ করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কক্সবাজারের টেকনাফ এলাকার গহিন পাহাড়ে র্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও বনবিভাগের ২৫৬ জন জনবল ভিকটিমকে উদ্ধারে ৭২ ঘণ্টা সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেন। সাঁড়াশি অভিযানে অপহৃত হাফিজকে উদ্ধার করা হয়।
আ. ম. ফারুক বলেন, গত বুধবার (১১ জুন) আনুমানিক রাত ১১ টার দিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ তে বসবাসরত মো. রহিমুল্লাহর ছেলে মো. হাফিজ উল্লাহকে অপহরণ করে সন্ত্রাসীরা। স্থানীয় এনায়েত উল্লাহ ও নবী হোসেনের যোগসাজশে র্যাব পরিচয়ে ৩ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী এই অপহরণ করে। অপহরণকারীদের নাম হচ্ছে বরখাস্ত সৈনিক সুমন, সন্ত্রাসী রাকিব ও শিকদার।
তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা ভিকটিমের পরিবারের কাছ ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। অপহরণের সময় সন্ত্রাসীরা ভিকটিমের পরিবার যদি প্রশাসনের সহায়তা নেয় তবে হাফিজ উল্লাহকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি প্রদান করেন। অপহরণের সংবাদটি র্যাব-১৫ এর সঙ্গে ভিকটিমের পরিবার যোগাযোগ করলে বিভিন্ন জায়গায় গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই প্রেক্ষিতে বিকালে র্যাবের একটি দল টেকনাফের রঙ্গিখালীতে অপহরণের অন্যতম প্রধান হোতা শীর্ষ ডাকাত সর্দার শাহ আলমের বাড়িতে হানা দিয়ে আফ্রিদি ও আব্দুল গফুর নামে দুজন সন্দেহভাজনকে আটক করে। এরপর মরিচা বাজার থেকে মূল অপহরণকারী বরখাস্ত সৈনিক মো. সুমন মুন্সিকে আটক করে র্যাব।
পরে ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২৫৬ জন সদস্য (র্যাব, বিজিবি, পুলিশ, এপিবিএন ও বনবিভাগ) অপহরণের ৭২ ঘণ্টা পর হাফিজ উল্লাহকে উদ্ধার করে। এসময় ১টি দেশীয় অস্ত্র, ৩ রাউন্ড গুলিসহ র্যাবের ইউনিফর্ম ও ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয় বলে জানান তিনি।
আটককৃত সেনাসদস্যের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, আটক সন্ত্রাসী মো. সুমন মুন্সি গোপালগঞ্জ কাশিয়ানি উপজেলার ডুমরাকান্দি গ্রামের আকবর আলী মুন্সির ছেলে। সে ২০১৯ সালে চাকুরিচ্যুত সেনা সদস্য। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ইতঃপূর্বে মোট ১১টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।