নতুন আঠারোটি ওয়ার্ড নিয়ে যে বার্তা দিল ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৫, ০৫:১১ PM , আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৪:০৪ PM
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেছেন, ডিএনসিসিতে নতুনভাবে সংযুক্ত আঠারোটি ওয়ার্ডের অন্তর্গত উত্তরখানের প্রধান সড়কের কার্পেটিং ঈদের আগেই শেষ হবে। আজ রবিবার (২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর উত্তরখানে চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘ঈদের আগে রমজান মাসের মধ্যেই উত্তরখানের প্রধান সড়কের কার্পেটিং শেষ হবে। উত্তরখানের প্রধান সড়কে কাজের গতি বাড়ানো হয়েছে। কার্পেটিংয়ের কাজ চলছে। রমজান মাসের মধ্যেই উত্তরখান থেকে আজমপুর পর্যন্ত পুরো সড়কটির কাজ শেষ হবে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা ওয়াসা ও ডেসকো পানির ও বিদ্যুতের কাজের জন্য রাস্তা কাটার অনুমতি চেয়ে ডিএনসিসির কাছে আবেদন করেছে। আজকের সমন্বয় সভায় আমরা সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি এই বর্ষায় নতুনভাবে সম্পন্ন করা রাস্তা কাটতে দেওয়া হবে না। বর্ষায় যেন জনগণের ভোগান্তি না হয় সেজন্য এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বর্ষা শেষে একটি নির্দিষ্ট সময়ে তাদের কাজের জন্য অনুমতি দেওয়া হবে।’
আরো পড়ুন: ৭ বছর ধরে বন্ধ উসমানী উদ্যান খুলে দেওয়া হচ্ছে জুনের আগেই
তিনি আরো বলেন, ‘এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অপরিকল্পিতভাবে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। জলাধার ভরাট করে বাড়িগুলো করা হয়েছে। প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা নেই। তাই এলাকার উন্নয়নে দুটি প্রধান চ্যালেঞ্জের একটি হলো ড্রেনেজ নেটওয়ার্ক, প্রশস্ত রাস্তা নির্মাণ ও খালগুলো উদ্ধার করা আর দ্বিতীয় বড় চ্যালেঞ্জ হলো ড্যাপে এই জায়গায় যে নাগরিক সুবিধাদি রেখেছে যেমন মাঠ, পার্ক, হাসপাতাল সেগুলোর ব্যবস্থা করা।’
ডিএনসিসি প্রশাসক বলেন, ‘নতুন এলাকায় যেভাবে মাঠ ও খাল দখল হচ্ছে এগুলো বন্ধে রাজউক, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যৌথভাবে আমরা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবো। আগামী সপ্তাহে আমরা ৯ মার্চ ভাটারা সূতিভোলা খাল দখলমুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করা হবে। আমি দায়িত্ব নেয়ার পরদিনই জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কাঁচকুড়ায় দেড় একর উদ্ধার করেছি যেখানে মাঠ ও কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ করা হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শরীফ উদ্দীন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খয়বর রহমান ও মো. জুলকার নায়ন প্রমুখ।