মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং ও কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন
- নোয়াখালী প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৩৫ AM , আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:০২ PM
নোয়াখালী সদর উপজেলার বাঁধেরহাট এলাকায় মাদক, সন্ত্রাস, ইভটিজিং ও কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বন্ধের দাবিতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, বাজার ব্যবসায়ী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যসহ সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে এক বিশাল মানববন্ধন-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টা থেকে সদর উপজেলার ‘দত্তবাড়ি-উদয় সাধুরহাট’ সড়কের বাঁধেরহাট বাজারে প্রায় এক কিলোমিটার সড়কজুড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বাঁধেরহাট আব্দুল মালেক উকিল ডিগ্রি কলেজ, নোয়ান্নই ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়, গোরাপুর ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসা, বাঁধেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাঁধেরহাট জিনিয়াস একাডেমি ও মানিক কিন্ডারগার্টেনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, অভিভাবক, বাজার ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া, বাঁধেরহাট বিদ্যোৎসাহী সংঘ, বাঁধেরহাট যুব কল্যাণ সংস্থা, আস-সুন্নাহ ব্লাড ফাউন্ডেশন, গোরাপুর সমাজসেবা সংগঠন ও কল্পক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাঁধেরহাট বিদ্যোৎসাহী সংঘের সভাপতি অজি উল্যাহ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাঁধেরহাট আবদুল মালেক উকিল ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জাকির হোসেন চৌধুরী বাবর, নোয়ান্নই ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোজাম্মেল হোসেন, গোরাপুর ইসলামিয়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নুর হাসান, কলেজ ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য আসাদুজ্জামান গেদু, বাঁধেরহাট জিনিয়াস একাডেমির পরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর, বাজার ব্যবসায়ী আবু জাকের ও যুব সংগঠক মাহবুবুর রহমান সোহাগ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাঁধেরহাট এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী, মাদকসেবী, কিশোর গ্যাং এবং ইভটিজারদের উৎপাত ভয়াবহভাবে বেড়েছে। তারা উল্লেখ করেন, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাঁধেরহাট আবদুল মালেক উকিল ডিগ্রি কলেজের এক ছাত্রীকে হেনস্তার প্রতিবাদ করায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা বাজারের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করে। এর আগে ২০২৩ সালে দু’গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে সাজ্জাদ হোসেন সৌরভ নামে এক যুবক নিহত হন।
বক্তারা দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। একই সঙ্গে মাদক, সন্ত্রাস ও ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে আহ্বান জানান। এছাড়া, এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।