স্থানীয় নাকি জাতীয় নির্বাচন, কোনটা আগে চান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

শিক্ষার্থীদের ভাবনায় নির্বাচন
শিক্ষার্থীদের ভাবনায় নির্বাচন  © সংগৃহীত

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এর মধ্য দিয়ে ১৬ বছরের শাসনের অবসান হয়। পরে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। তবে নতুন সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে মনোযোগ দিলেও কয়েকটি রাজনৈতিক দল দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তাগাদা দিচ্ছে।

এর মধ্যে আলোচনায় আসে স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারাসহ জামায়াতে ইসলামী ও বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল স্থানীয় নির্বাচনের কথা বললেও, প্রধান বড় দল বিএনপি তা চায় না। তরা বলছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন কোনোভাবেই মেনে নেবে না। এ নিয়ে দেশে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, স্থানীয় নাকি জাতীয় নির্বাচন আগে হওয়া দরকার?

এমনিতেই রাজনৈতিক দলগুলো এবং জনগণের একাংশের মধ্যে সন্দেহ-সংশয় রয়েছে যে ১/১১-এর সরকারের মতো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দীর্ঘসময় ক্ষমতায় থাকতে চায়। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রসঙ্গটি সামনে আসায় সেই সন্দেহ-সংশয় আরও দৃঢ় হয়েছে।

তবে কোন নির্বাচন আগে হওয়া উচিত বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা? দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ওয়াসিফ আল আবরার।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষার্থী মিজানুর রহমান মিজান বলেন, ‘প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগেই অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত। সাধারণত জাতীয় নির্বাচন শেষ হওয়ার পর ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব আরও বাড়ে এবং তারা বিভিন্ন ধরনের অবৈধ কৌশল অবলম্বন করে স্থানীয় নির্বাচনে তাদের প্রার্থীদের জয়ী করে। এতে জনগণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয় এবং দলীয় স্বার্থই প্রাধান্য পায়। উদাহরণস্বরূপ, ক্ষমতাসীন দলটির কর্মকর্তাদের পদায়ন বা স্থানীয় সরকারে তাদের প্রভাব স্থাপন, যা জাতীয় নির্বাচনের পর স্থানীয় নির্বাচনের ফলাফলকে অবৈধভাবে প্রভাবিত করতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘যদি স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগে অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে রাজনৈতিক দলগুলো একে অপরকে সমানভাবে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখতে পারবে এবং এর ফলে নির্বাচনে জনগণের প্রকৃত চাহিদা ও ইচ্ছার প্রতিফলন হবে। এভাবে স্থানীয় নির্বাচনে সঠিক ও ন্যায্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে, যা দেশের প্রকৃত গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সুরক্ষিত রাখবে। তাই আমাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে আরও শক্তিশালী এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ করার জন্য স্থানীয় নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের আগেই অনুষ্ঠিত হওয়া প্রয়োজন।’

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের শিক্ষার্থী আদিব হাসান প্রান্ত বলেন, ‘৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পালানোর পর থেকে শুরু হয়েছে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। চিন্তাভাবনার প্রসার ঘটছে, সব বয়সী মানুষ দেশকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে। দেশ ও রাজনৈতিক পরিসর সংস্কারের স্বপ্ন দেখছে জনগণ।’

তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন ইতোমধ্যে জমা দিয়েছে। সেই সংস্কারকাজের সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচনি প্রস্তুতির কথা বলছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নির্বাচন প্রস্তুতিতে চলে আসছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নাকি জাতীয় সরকার নির্বাচন কোনটা আগে হবে? সেই ক্ষেত্রে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বড় একটা দল বলেছে জাতীয় নির্বাচন আগে দিতে এবং নির্বাচিত সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে। কিন্তু বাস্তবে স্থানীয় সরকার যে উদ্দেশ্যে গঠন করা হয়েছে, নির্বাচিত সরকারে অধীনে নির্বাচনের ফলে সে উদ্দেশ্যটা সম্পূর্ণ ব্যাহত হবে। শুধু ব্যাহত হবে না, স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংসদ সদস্যরা নিজের কালো রাজনৈতিক স্বার্থ আদায় করবে।’

আদিব হাসান বলেন, ‘যে এলাকায় একজন সংসদ সদস্য থাকেন, সেখানে একটা দলীয় প্রভাব বিস্তার করে। সংসদ সদস্য যাকে সমর্থন দিয়েছেন, সেই ব্যক্তিই হয়েছেন দলীয় প্রভাবের স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি। এমনকি এমনও হয় সংসদ সদস্যের প্রভাবে ভোটকেন্দ্র দখল হয়ে যায়। সংসদ সদস্যের আধিপত্যে প্রশাসন নির্বিকার ও অসাহয় হয়ে থাকে। এমনও ঘটনা ঘটেছে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র দ্বারা স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন কাউন্সিলর নির্বাচনে জোর করে ক্যাম্পাসের সিনিয়র-জুনিয়রদের নিয়ে মিছিল করিছেয়ে, প্রভাব খাটিয়েছে। সেগুলো গত ১৬ বছরে ঘটেছে। মানুষ এখন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আস্থা হারিয়েছে, আস্থা হারিয়েছে নির্বাচন কমিশনের ওপর। বড় কয়েকটি রাজনৈতিক দল বেশির ভাগ সময় শুধু দলীয় স্বার্থে বলছে, এটাও একটা কারণ।’

জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হতে পারে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ওপর জনগণের আস্থা, এমনটা মনে করে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় নির্বাচন দ্বারা নির্বাচন কমিশর তাদের সক্ষমতার যাচাই করে দেখাতে পারে। জনগণ তখন ভোট কেন্দ্রমুখী হবে। আরেকটা বিষয় আসতে পারে যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ মাথাছাড়া দিতে পারে। সে জন্য দরকার আগে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। তা না হলে জাতীয় নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ দেশে নৈরাজ্য তৈরি করতে পারে।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ উজ জামান কোরবান বলেন, ‘মানুষের কাছে নির্বাচন সর্বদাই উৎসবের মতো। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তার পালানোর সঙ্গে সঙ্গে অধিকাংশ এমপি দেশ থেকে পালিয়ে যান। অনেকে চলে যান আত্মগোপনে। এদিকে জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের দলীয় জনপ্রতিনিধিরাও পালিয়েছেন। আবার দাবির মুখে অপসারণ করা হয়েছে অনেককে। এ অবস্থায় কার্যত অচলাবস্থা বিরাজ করছে স্থানীয় সরকার কাঠামোতে।’

তিনি বলেন, ‘তবে জনগণের ভোগান্তি কমাতে স্থানীয় সরকার পরিচালনা এবং জনসেবা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পর্যায়ের আমলাদের বসানো হয়েছে এসব দায়িত্বে। কিন্তু তা পর্যাপ্ত নয় বলে অভিমত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বশীল থেকে সাধারণ জনগণ সবার।’

আরিফ উজ জামান বলেন, ‘বর্তমান সময়ে জাতীয় নির্বাচন আগে হবে নাকি স্থানীয় নির্বাচন, এটিই এখন দেশের আলোচনার শীর্ষে রয়েছে। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারের বিষয়ে গত ২০ থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে জনমত জরিপ চালায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। দেশের ৬৫ শতাংশ মানুষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন চায় বলে এই জরিপে উঠে এসেছে। বিপরীতে ২৯ শতাংশ মানুষ জাতীয় নির্বাচনের পরেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন চান। পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচন কোনো দলীয় প্রতীক না রেখে বরং নির্দলীয় করার পক্ষে মত দিয়েছেন প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ। তবে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দলগুলো চায় জাতীয় নির্বাচন আগে হোক।’

জুলাই বিপ্লবের মূল স্পিরিট ছিল শোষণমুক্ত স্বচ্ছ একটি স্বদেশ বিনির্মাণ, এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উচিত হবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে জনসেবা নিশ্চিত করা। এতে দেশের মানুষের ভোগান্তি অনেকটাই লাঘব হবে। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় নির্বাচন দেওয়ার আগে নির্বাচনব্যবস্থা এবং সংবিধান সংস্কারের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য পর্যাপ্ত সময় হাতে পাবে। এর মাধ্যমে জুলাই বিপ্লবের প্রেষণা খানিকটা আলোর মুখও দেখবে।’

প্রশ্ন উঠতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনের মতো একটি মহাযজ্ঞ পরিচালনা করে বাকি বিষয়গুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংস্কার করতে পারবে কিনা! তবে জুলাই বিপ্লবের প্রধান স্টেকহোল্ডার যেহেতু ছাত্রসমাজ ছিল এবং এখনো তাদের ভেতরে দেশ সংস্কারের প্রবল স্পৃহা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের সামগ্রিক সংস্কারের স্বার্থে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দ্রুত সময়ে দিয়ে জাতীয় নির্বাচনের পথকে উন্মুক্ত করতে পারবে। দীর্ঘ সময় ভোট দিতে না পারা জনগণের ভোট-ভীতি কেটে যাবে এবং তা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রভাব রাখবে বলেই আমার ধারণা।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী সোহানুর রহমান বলেন, ‘মানুষের চাহিদা ও অগ্রাধিকারের ওপর নির্ভর করে এই প্রশ্নের উত্তর ভিন্ন হতে পারে। তবে সাধারণভাবে, স্থানীয় নির্বাচন ও জাতীয় নির্বাচনের গুরুত্ব আলাদা হলেও একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। স্থানীয় সরকার নাগরিকদের সরাসরি প্রয়োজন মেটানোর দায়িত্ব পালন করে। জনগণের কাছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহি বেশি থাকে এবং তারা সরাসরি নাগরিকদের সঙ্গে কাজ করেন। রাস্তা, পানীয়, বিদ্যুৎ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয় স্থানীয় সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, যা মানুষের দৈনন্দিন জীবনে সরাসরি প্রভাব ফেলে।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন আগে কেন চাইতে পারে জনগণ? জাতীয় নির্বাচন দেশের সার্বিক নীতি, অর্থনীতি, পররাষ্ট্রনীতি, এবং দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন পরিকল্পনা নির্ধারণ করে। কেন্দ্রীয় সরকার সঠিকভাবে নির্বাচিত হলে স্থানীয় সরকারও কার্যকর হতে পারে। জাতীয় বাজেট, অবকাঠামো উন্নয়ন এবং বড় প্রকল্পগুলোর সিদ্ধান্ত কেন্দ্রীয় সরকার নেয়। অনেক সময় জাতীয় নির্বাচন আগে হয়ে থাকে, কারণ এটি একটি দেশের রাজনৈতিক কাঠামো ও প্রশাসনের মূল ভিত্তি গড়ে তোলা হয় এ নির্বাচনের মাধ্যমে। তবে কার্যকর স্থানীয় সরকার থাকলে জাতীয় নির্বাচনও আরও গণতান্ত্রিক হতে পারে। তাই জনগণের দৃষ্টিকোণ থেকে উভয় নির্বাচনেরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রাফিউল হুদা বলেন, ‘আগে স্থানীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ছাত্রসংসদ নির্বাচনগুলো হওয়া দরকার। তারপর জাতীয় নির্বাচন। কারণ, জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকারই ক্ষমতায় আসবে, সেই সরকার স্থানীয় ও ছাত্রসংসদ নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবে। আগেও এমনটি ঘটেছে আর ভবিষ্যতেও যে ঘটবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।’

স্থানীয় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জন্য পরীক্ষামূলক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘গত ১৬ বছরের আওয়ামী শাসনের ফলে নির্বাচনব্যবস্থা একেবারেই ধ্বংস হয়ে গেছে। সেই অবস্থা থেকে বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনব্যবস্থার কতটুকু সংস্কার করতে পেরেছে, সেটি বোঝার জন্য ছাত্রসংসদ ও স্থানীয় সরকারসহ ছোট নির্বাচনগুলো আগে করা উচিত। এতে বর্তমানে নির্বাচনব্যবস্থা আগের চেয়ে কতটুকু সক্ষমতা অর্জন করেছে, সেটি আমরা বুঝতে পারব। আর এই ছোট নির্বাচনব্যবস্থার সঙ্গে যারা জড়িত থাকবে, তারাও সুষ্ঠু একটি জাতীয় নির্বাচন করার আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে পারবে।’

রাফিউল আরও বলেন, স্থানীয় নির্বাচন আগে হলে তৃণমূল পর্যায়ে গণতন্ত্রের চর্চা বাড়বে, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নেতারা জনগণের চাহিদা বুঝতে পারেন এবং জাতীয় নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ ও রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়বে।’


সর্বশেষ সংবাদ