রাজনীতির বাইরে স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে এক অন্যরকম দিন মির্জা ফখরুলের

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  © সংগৃহীত

রাজনীতির মাঠ ছেড়ে একদিনের জন্য আড্ডা, খেলাধুলা আর সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে মেতে ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঠাকুরগাঁও শহরের জগন্নাথপুর এলাকার হাওলাদার হিমাগার চত্বরে এক মিলনমেলায় স্কুল জীবনের সহপাঠীদের সঙ্গে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন তিনি।

স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বললেন, ‘আমার বন্ধু গোফরানের সঙ্গে খুব দুষ্টুমি করতাম। সে প্রায় রেগে গিয়ে রুস্তম আলী হেড স্যারকে নালিশ করত। হেড স্যার আমাদের ডেকে পাঠান। আমাদের লাইন করে দাঁড় করালেন। আমাদের শাস্তি জুটল একটা করে বেত। সব শেষে ছিল আফিজুর। তাঁর মুখে সব সময় হাসি থাকত। হেড স্যার তাকে বেত মারার পর সে হাসল। হেড স্যার রেগে গিয়ে আবার মারলেন। এর পরও আফিজুর হাসছে। হেড স্যার আরও রেগে গিয়ে ওকে প্রচণ্ড মারলেন। এরপর বেত ফেলে দিয়ে আফিজুরকে বুকে টেনে নিয়ে কাঁদতে লাগলেন স্যার।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের বন্ধুদের মধ্যে অনেকেই অসুস্থ। আজ সকালে বন্ধু আনিসুরকে দেখতে গেছিলাম। একেবারেই শয্যাশায়ী, নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছে। জানি না আমরা কে কখন চলে যাব। কিন্তু যাওয়ার আগে অন্তত আজকের দিনটা আমাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘স্বাধীনতার পরে বন্ধুদের সঙ্গে রংপুরে এক কাজে গিয়েছিলাম। রাতের বেলা কী করব? তাই ঠিক করলাম সিনেমা দেখব। কিন্তু সিনেমা দেখার জন্য তখন আমাদের হাতে টিকিট ছিল না। তারপরও ভিড় ডিঙিয়ে টিকিটের ব্যবস্থা করে সিনেমা দেখেছি। এগুলো আমার কাছে এখনো মধুর স্মৃতি হয়ে আছে।’

এ সময় কবিতা আবৃত্তির অনুরোধ করা হলে তিনি বলেন, একসময় আবৃত্তি করতাম, এখন করি না। বক্তৃতা করি। তারপরও আমি চেষ্টা করব। কারণ, একসময় আমিও নাটক করেছি, রং মেখেছি, একসময় নাট্যগোষ্ঠী করতাম। পরে তিনি তার প্রিয় কবিতা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’ আবৃত্তি করে শোনান বন্ধুদের।


সর্বশেষ সংবাদ