আইনজীবী সাইফুল হত্যায় এখনও মামলা করেনি পরিবার

আইনজীবী সাইফুল
আইনজীবী সাইফুল  © সংগৃহীত

চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে নিহত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ নিহতের ঘটনায় চারদিন পেরোলেও হত্যা মামলা করেনি পরিবার। গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে ইসকনের অনুসারীদের হামলায় এই ঘটনা ঘটে। 

বৃহস্পতিবার রাতে নগরের কোতোয়ালি এলাকা থেকে সহিংসতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনায় হওয়া মামলায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ নিয়ে মোট ৩৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

পুলিশ জানায়, সর্বশেষ গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- বাবলা ধর, সজল শীল ও দুর্লভ দাস। আদালতের মাধ্যমে আজ তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবারের ওই সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করেছে। এ তিন মামলায় ৭৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১ হাজার ৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ৩৮ জনের মধ্যে আইনজীবী হত্যায় ৯ জন জড়িত বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। হত্যা মামলা হলে তাঁদের ওই মামলায়ও গ্রেপ্তার দেখানো হবে।

নগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপকমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ গণমাধ্যমকে বলেন, গ্রেপ্তার তিনজনের মধ্যে দুর্লভ দাস আইনজীবী হত্যার ঘটনার সময় ধারালো অস্ত্র হাতে ছিলেন। ভিডিও ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়েছে।

কোতোয়ালি থানার ওসি আব্দুল করিম বলেন, ‘আইনজীবী সাইফুল হত্যার ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা করার জন্য আসেননি। তারা এলে মামলা নেওয়া হবে।’

এর আগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন গত মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালতে নামঞ্জুর হয়। এরপর কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হলে বাধা দেন তাঁর অনুসারীরা। 

একপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়। পরে ভাঙচুরের প্রতিবাদে আইনজীবীরা মিছিল বের করলে ধাওয়া দিয়ে সাইফুলকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের সংগ্রহ করা ৫২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজের সূত্র ধরে তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, আইনজীবীকে খুনের ঘটনায় ২৫ থেকে ৩০ জন অংশ নেন। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপান তিনজন। 

তার নিথর দেহ পড়ে থাকলেও লাঠিসোঁটা দিয়ে পেটাতে থাকেন অন্যরা। সেখানে থাকা ২৫-৩০ জনের বেশির ভাগই পরিচ্ছন্নতাকর্মী। একজন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী।


সর্বশেষ সংবাদ