পদ্মায় নিখোঁজ আরেক এএসআইয়ের মরদেহ উদ্ধার

এএসআই মুকুল হোসেন
এএসআই মুকুল হোসেন  © সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পদ্মা নদীতে দুর্বৃত্তদের হামলায় নিখোঁজ আরেক এএসআই মুকুল হোসেনের (৪০) মরদেহ পাবনার সুজানগরে পদ্মা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল সাতটার দিকে উপজেলার নাজিরগঞ্জ ফেরীঘাট এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে নিখোঁজ দুই এএসআইয়ের মরদেহই উদ্ধার করা হলো।

নিহত মুকুল হোসেন কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানায় এএসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি মেহেরপুর সদর উপজেলার কালা চাঁদপুর গ্রামের মৃত আবদুল লতিফের ছেলে। 

সুজানগর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘সকালে নাজিরগঞ্জ ফেরীঘাটে পদ্মা নদীতে এক ডিঙ্গি নৌকার মাঝি আমাদের ফোন করে মরদেহ ভেসে থাকার খবর দেয়। তারা মরদেহটি রশি দিয়ে ড্রেজারের সঙ্গে বেঁধে রেখেছিল। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে। আমাদের কাছে থাকা কুষ্টিয়ার মিরপুরে পুলিশ নিখোঁজের তথ্য ও ছবি মিলিয়ে মরদেহটি এএসআই মুকুলের বলে শনাক্ত করা হয়।’

আরও পড়ুন: পাবনায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ওসি গোলাম মোস্তফা আরও জানান, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় কুষ্টিয়ার মিরপুর থানায় মামলা রয়েছে।

গত সোমবার (২৮ অক্টোবর) ভোররাতে উপজেলার বেড় কালোয়া এলাকার পদ্মা নদীতে অভিযানে যায় পুলিশ। কুমারখালী থানার ছয় পুলিশ সদস্যকে নিয়ে নৌকায় করে পদ্মা নদীতে যান স্থানীয় দুই ইউপি সদস্য ছানোয়ার হোসেন ও আনোয়ার হোসেন। এ সময় অবৈধভাবে জাল ফেলে মাছ শিকার করছিলেন জেলেরা। পুলিশের নৌকাটি জেলেদের দিকে গেলে দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় নৌকায় থাকা কুমারখালী থানার এএসআই সদরুল আলম ও এএসআই মুকুল হোসেন নদীতে ঝাঁপ দেন। এরপর থেকেই তারা নিখোঁজ ছিলেন।

আরও পড়ুন: পাবনায় ছাত্রদল কর্মীকে মাথায় গুলি

এরপর মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ঘা‌ট এলাকার মাঝ নদী‌ থেকে নিখোঁজ এএসআই সদরুল আলমের (৪২) মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। সদরুল আলম পাবনার আতাইকুলা থানার পীরপুর গ্রামের আবদুল ওহাবের ছেলে। 

কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, ২০২৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি কুমারখালী থানায় এএসআই হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন সদরুল আলম ও মুকুল হোসেন। তাদের নিখোঁজ ও মৃত্যুর ঘটনায় মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) এসআই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। মামলায় ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।


সর্বশেষ সংবাদ