দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে তরুণকে কুপিয়ে হত্যা, আরও দুজন গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার ফজলুল হক ও ইউসুফ মণ্ডল
গ্রেপ্তার ফজলুল হক ও ইউসুফ মণ্ডল  © সংগৃহীত

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে ফারুক সরদার (২৮) নামের তরুণকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) বিকেলে মানিকগঞ্জ থেকে একজন ও রাতে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকা থেকে অন্যজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার দুজনের মধ্যে এজাহারভুক্ত ৪ নম্বর আসামি ফজলুল হক ওরফে ফজল শেখ (৩৯) উপজেলার উত্তর দৌলতদিয়া সোহরাব মণ্ডলপাড়ার সোনা উল্লাহ শেখের ছেলে। আর সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার ইউসুফ মণ্ডল (৩৩) দৌলতদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ও হোসেন মণ্ডলপাড়ার মোহন মণ্ডলের ছেলে। ইউসুফ হলেন ফজলুল হকের শ্যালক। এর আগে ওই হত্যাকাণ্ডে হুমায়ুন (২৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত ফারুক সরদার উপজেলার উত্তর দৌলতদিয়া সোহরাব মণ্ডলপাড়ার পল্লিচিকিৎসক শহিদুল ইসলামের ছেলে। এ ছাড়া মোহন মণ্ডলের ভায়রার ছেলে। ফারুক ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ও দৌলতদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন।

গত শনিবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে দৌলতদিয়া যৌনপল্লিতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ফারুককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। তার সঙ্গে থাকা স্থানীয় শামসু মাস্টারপাড়ার সালাম মোল্লার ছেলে বন্ধু আলামিন মোল্লা (২৫) এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করা হয়।

আরও পড়ুন: চাঁদাবাজি ও জুয়া বন্ধ করতে গিয়ে খুন হলেন ছাত্রদল কর্মী

এ ঘটনায় ফারুকের স্ত্রী সুমি আক্তার বাদী হয়ে রোববার গোয়ালন্দ ঘাট থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সোহরাব মণ্ডলপাড়ার রমজান ফকিরের ছেলে রিপন ফকির (২৬), ভাই মমিন ফকির (২৭), চাচাতো ভাই জহুরুল ফকির (২৩), আত্মীয় ফজলুল হক, কাশেম ফকিরকে (৪০) আসামি করা হয়। এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ববিরোধের জেরে ফারুককে হত্যা করা হয়েছে। প্রধান আসামি রিপন ফকির মোহন মণ্ডলের ভাগনি জামাই।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার দুজনকে মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) আদালতে পাঠানো হবে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।


সর্বশেষ সংবাদ