গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে

সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগে ২৫ হাজার মানুষ, দূরত্ব বেড়েছে ৩০ কিলোমিটার 

ভেঙে যাওয়া সাঁকোর বিকল্প এখন ডিঙি নৌকা
ভেঙে যাওয়া সাঁকোর বিকল্প এখন ডিঙি নৌকা  © টিডিসি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বুড়াইল খালে সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে অন্তত ২৫ হাজার মানুষকে। যাতায়াতের দূরত্বও বেড়েছে প্রায় ৩০ কিলোমিটার। উপজেলার পশ্চিম-দক্ষিণ কোণে বয়ে যাওয়া প্রায় ১০০ মিটার চওড়া এবং ১৫ মিটার গভীর এই খালে নির্মিত সাঁকোই কয়েক দশক ধরে দু'পাড়ের মানুষদের যাতায়াতের মাধ্যম ছিল। সেটিও ভেঙে যাওয়ায় পথচারীদের পারাপারে ভরসা এখন ডিঙি নৌকা।

বুধবার (৯ অক্টোবর) সাঁকোটি ভেঙে পড়েছে বলে স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়।

জানা যায়, উপজেলার তারাপুরের ইমামগঞ্জ বাজার থেকে সোজা উত্তর দিকে চলে যাওয়া কাঁচা রাস্তা মাঝখানে থাকা বুড়াইল নামক খালের সাঁকো দিয়ে চলাচল করতেন সুন্দরগঞ্জ, পীরগাছা, উলিপুর, রাজারহাটসহ বিভিন্ন এলাকার অন্তত ২৫ হাজার মানুষ। বাহন হিসেবে চলাচল করে বাইসাইকেল, ভ্যান, অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল। এছাড়া দক্ষিণ পাড়ে থাকা অধিকাংশ কৃষকের ফসলি জমি খালের উত্তরে। উপজেলা সদর কিংবা প্রধান হাটবাজারের অবস্থানও দক্ষিণে। সাঁকোটি না থাকায় উত্তর-দক্ষিণের অধিবাসীদের থমকে গেছে জীবন-জীবিকা। গত বুধবার সাঁকোটি ভেঙে পড়ায় ভরসা এখন ডিঙি। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, ছোট্ট একটি নৌকায় পারাপার হতে হচ্ছে পথচারী ও কৃষকদের। ৪-৫ জন উঠলেই ডুবুডুবু করছে ওই ছোট্ট নৌকা। একে তো ছোট্ট নৌকা, তার ওপর স্রোত থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পার হচ্ছেন তারা। সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন শিক্ষার্থী, মোটরসাইকেল আরোহী, অটোরিকশা ও ভ্যান চালকরা। সাঁকোটি তাদের আসা-যাওয়ার দূরত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে ৩০ কিলোমিটার পথ। 

এ ব্যাপারে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে কথা বলেন স্থানীয় শিক্ষক শাহজাহান কিবরিয়া নয়ন, কৃষক আমিনুল ইসলাম ও ডিঙির মাঝি চন্দন দাস। তাদের মতে লাটশালায় তিস্তা পারাপারের ঘাট থাকায়  সুন্দরগঞ্জ, মীরগঞ্জ এবং কুড়িগ্রামের উলিপুর, রাজারহাট, থেতরাই, নাগরাকুড়া ও বড়বাড়ি যেতে দিনে প্রায় ২-৩ হাজার লোক এ পথে যাতায়াত করেন। সাঁকোটি ভেঙে পড়ায় বিপদে পড়েছেন তারা। সবাই ভোটের আগে ব্রিজ তৈরির আশ্বাস দিলেও তা কখনো বাস্তবায়িত হয় নি।

সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার মো. শাহালম বলেন, সাঁকোটি নিয়ে খুব বিপদে আছি। প্রতিবছর এই একই সমস্যা। ব্রিজ নিয়ে অনেক যোগাযোগ করা হয়েছে কিন্তু কাজ হয়নি। এখন দেখা যাক পানি কমলে চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় আবার একটা সাঁকো তৈরি করা হবে।

সাঁকো ভেঙে যাওয়ায় জনসাধারণের ভোগান্তির বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আব্দুল মান্নাফ  বলেন, ব্রিজটির ডিজাইন এর কাজ প্রক্রিয়াধীন। আশাকরি তা দ্রুত অনুমোদন এবং টেন্ডার হবে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence