দীপ্ত টিভির কর্মকর্তা তামিম হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৪৩ PM , আপডেট: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪৮ PM
দীপ্ত টিভির কর্মকর্তা তামিম হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রুহুল কবির খান। ঢাকার রামপুরা মহানগর প্রজেক্ট এলাকায় বৃহস্পতিবার (১০) ঘরে ঢুকে মারধর করে তানজিল জাহান ইসলাম তামিম (৩২) নামে এক যুবককে হত্যা করা হয়।
নিহত তামিম দীপ্ত টিভির সম্প্রচার বিভাগের কর্মকর্তা ছিলেন। এ ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের পর ডেভেলপার কোম্পানির মালিক এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) এক কর্মকর্তার সম্পৃক্ততা পেয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রুহুল কবির খান এ তথ্য জানান।
উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রুহুল কবির খান বলেন, “জমির মালিক ও প্লেজেন প্রোপার্টি লিমিটেডের মধ্যে ভবন নির্মাণের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী কয়েকটি ফ্ল্যাট জমির মালিককে হস্তান্তর করার কথা ছিল ওই কোম্পানির। সে অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশনও হয়। এরপরও ডেভেলপার তৃতীয় পক্ষের কাছে একটি ফ্ল্যাট বিক্রি করে দেয় যেটি জমির মালিকের পাওয়ার কথা। ফ্ল্যাট কেনেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তা মো. মামুন। এই নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত।”
তিনি আরও বলেন, “ডেভেলপার জমির মালিককে ফ্ল্যাটটি বুঝিয়ে দেওয়ার পরেও তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করে দেয়। এটা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার সকালে জমির মালিক ভবনের সাত তলায় নিজের ফ্ল্যাটে কাজ করতে যায়। মামুনের সহযোগিতায় ডেভেলপার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল লতিফসহ ২০ থেকে ২৫ জনকে নিয়ে দীপ্ত টিভির সম্প্রচার কর্মকর্তা ও জমির মালিকের ছেলে তানজিল জাহান ইসলাম তামিমের ওপর হামলা করে। আহত অবস্থায় তামিমকে মনোয়ারা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।”
আরও পড়ুন: কি চলতো ফারাজের বাবা ফজলে করিমের ‘আয়নাঘরে’
এই ঘটনায় রাজনৈতিক প্রভাব থাকায় পুলিশ আগে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি–– এমন অভিযোগ রয়েছে জানতে চাইলে রুহুল কবীর বলেন, “হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) দায়িত্বে অবহেলার দায়ে ইতোমধ্যে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার অবহেলার প্রমাণ পেয়েছি।”
এই ঘটনায় নিহতের বাবা সুলতান আহমেদ বাদী হয়ে হাতিরঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহতের পরিবার অভিযোগ করে, ডেভেলপার কোম্পানির মালিক বিএনপির প্রভাবশালী নেতা। তার ইন্ধনে তার লোকজন এই হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের ওই কর্মকর্তাও জড়িত ছিলেন।