ভাইরাল হওয়া শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্রটি ভুয়া: আওয়ামী লীগ

ভাইরাল হওয়া পদত্যাগ পত্র ও শেখ হাসিনা
ভাইরাল হওয়া পদত্যাগ পত্র ও শেখ হাসিনা  © সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন দীর্ঘ দেড় দশক ধরে দেশ শাসন করা শেখ হাসিনা। এরপর দুপুরে সামরিক বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে বোন রেহানাকে নিয়ে তিনি ভারতে পালিয়ে যান তিনি। শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে নানা মহলে গুঞ্জন রয়েছে। সম্প্রতি তার পদত্যাগ সংক্রান্ত একটি পত্র বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তবে ভাইরাল সেই পত্রটিকে ‘ভুয়া’ বলে দাবি জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে এ দাবি জানানো হয়েছে।

আওয়ামী লীগ দাবি করেছে, ‘দেশের টিভি চ্যানেলের ফেসবুকে এরকম অপরিপক্ক এডিটেড কোন পদত্যাগপত্র প্রকাশ, একটি দৈন্যতা মাত্র’। তারা ফেসবুকে ভাইরাল ওই পোস্টের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে লিখেছেন, কেন এই পদত্যাগপত্র ভুয়া?

পোস্টে দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে,  তারা ভুলে এখনও মুজিববর্ষ লোগো লাগিয়ে রেখেছে, যেই মুজিববর্ষ ২০২১ সালে শেষ! লক্ষ্য করুন ভুয়া এই পদত্যাগপত্রটি অত্যন্ত অস্পষ্ট। পদত্যাগপত্রের ভাষা দেখুন, যা মন চায় তারা একটা কিছু লিখে পাবলিশ করে দিলো। শেখ হাসিনার স্বাক্ষরটিও গুগল থেকে নিয়েছে, যাতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মূল পেজের সাথে স্বাক্ষরের অংশের পিক্সেলের পার্থক্য। ৫ আগস্ট ছিলো ২১ শ্রাবণ, পদত্যাগপত্রে দেওয়া ২০ শ্রাবণ!  

‘দেশের মিডিয়াকে এরকম নগ্নভাবে ব্যবহার করে নিজেদেরকে হাসির পাত্র বানাবেন না। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার যে আনুষ্ঠানিকতা সেই সময় নেননি। তিনি সোজা তেজগাঁও থেকে বিমানে করে ভারতে গেছেন। এইসব বাদ দিয়ে বরং দেশের সমস্যা সমাধান করার আহ্বানও জানানো হয়েছে একই পোস্টে।

ভাইরাল হওয়া পদত্যাগ পত্রে দেখা গেছে, আমি গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাতে চাই যে, সাম্প্রতিক বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে যেখানে ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে এবং আর কোনো প্রাণহানি এড়ানোর জন্য আমি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করছি।

আরও দেখা গেছে, এ ঘটনাগুলোতে আমি সম্পূর্ণ দায়িত্ব স্বীকার করছি এবং এ দেশের জনগণের নিরাপত্তা ও কল্যাণের প্রতি আমার অঙ্গীকার সবসময় অটুট থাকবে।

গত পনেরো বছর ধরে আমি আপনাদের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি, যা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্মান। তবে সাম্প্রতিক ঘটনাবলী প্রমাণ করছে যে, এ মুহূর্তে দেশকে এগিয়ে নিতে অন্য নেতৃত্বের প্রয়োজন। আমি আশা করি, আমার পদত্যাগ বাংলাদেশের উন্নয়নের নতুন পথ খুলে দেবে এবং শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে।

শেষ পর্যায়ে লেখা রয়েছে, এই কঠিন সময়ে আমার সরকার যা কিছু করেছে, তার জন্য আমি গভীরভাবে অনুতপ্ত। আমি সব বাধ্যবাধকতা মেনে নিচ্ছি এবং এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের বৃহত্তর স্বার্থে নিয়েছি।

এদিকে, ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর খোদ শেখ হাসিনা এক বার্তায় দাবি করেছেন যে, তিনি পদত্যাগ করেননি। তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়ও একাধিকবার দাবি করেছেন যে, তার মা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেননি। তাছাড়া ভারতীয় গণমাধ্যম ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তো দাবি করছেনই।


সর্বশেষ সংবাদ