ড. ইউনূসের সঙ্গে শিগগিরই আলোচনার ইঙ্গিত যুক্তরাষ্ট্রের

ড. মুহাম্মদ ইউনূস
ড. মুহাম্মদ ইউনূস  © ফাইল ছবি

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে শিগগিরই বৈঠক শুরু করার পরিকল্পনা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বের অন্যতম পোশাক রপ্তানিকারক বাংলাদেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করার কাজে সহায়তা করার অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এই আলোচনার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। আগামী সপ্তাহেই দুই দিনব্যাপী এই সংলাপ ঢাকায় শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপক্ষীয় এই বৈঠকের তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গত ৮ আগস্ট শপথ নেয়ার পর প্রথমবারের মতো আগামী ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বর রাজধানী ঢাকায় দুই দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে উচ্চ-পর্যায়ের অর্থনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এই সংলাপে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ৮৪ বছর বয়সী ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বাংলাদেশের অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ছাত্র-জনতার উত্তাল আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশে দীর্ঘ দেড় দশক ধরে ক্ষমতায় থাকা কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন ঘটে গত ৫ আগস্ট। ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তার পদত্যাগের তিনদিন পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন প্রতিনিধিদলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ, পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য দপ্তর ও ইউএসএইডের কর্মকর্তাদের থাকার কথা রয়েছে। সংলাপে বাংলাদেশের আর্থিক ও মুদ্রানীতির পাশাপাশি আর্থিক খাতের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুন: ভারতীয় ঋণের প্রকল্প নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত জানাল অর্থ উপদেষ্টা

মার্কিন রাজস্ব ও অর্থ দপ্তরের আন্তর্জাতিক অর্থায়নবিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক দুর্বলতা মোকাবিলা ও নিরবচ্ছিন্ন প্রবৃদ্ধি এবং উন্নয়ন নিশ্চিতে একটি শক্তিশালী ভিত্তি তৈরি করতে পারবে বলে যুক্তরাষ্ট্র আশাবাদী।

তিনি আরও বলেন, আইএমএফ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাংলাদেশের নিরবচ্ছিন্ন সম্পৃক্ততার জন্য মার্কিন সমর্থন বৃদ্ধির পরিকল্পনা করেছ ওয়াশিংটন। কারণ আর্থিক খাতের সংস্কার গভীরতর করে আর্থিকখাতে টেকসইমূলক উন্নয়ন এবং দুর্নীতি কমিয়ে এনে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি জোরদার করতে চায় ঢাকা।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!