বিকালে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস  © সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ আজ। বৈঠকে বিএনপি ও জামায়াতসহ বিভিন্ন দলকে ডাকা হলেও সদ্য পদত্যাগকারী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগকে ডাকা হয়নি বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিকাল ৩টায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় এ মতবিনিময় সভা শুরু হবে। চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সূত্র জানায়, বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর যেসব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন, এবারও তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হবে। জানা গেছে, আজ শুধু মতবিনিময় হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংলাপ পরে হবে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির তিন নেতার সঙ্গে সোয়া এক ঘণ্টা বৈঠক করেন ড. ইউনূস। এসময় বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন। আমাদের প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা আলোচনা হয়েছে। অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।’

নির্বাচনের কোনো সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো তারিখ নিয়ে আলোচনা করিনি। আমরা কোনো তারিখ বলব না। এটা উনারা বলবে

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজপথে ছাত্র-জনতার ঢল নেমে আসার কারণে চরম বৈরী পরিস্থিতিতে পড়ে আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারত চলে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন। আর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। 

এর পর শুরু হয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নামে মামলা ও গ্রেপ্তারের খড়্গ। এ পরিস্থিতিতে ওই সরকারের মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান।

এ সরকার ক্ষমতায় এসে রাজনৈতিক দল, ব্যবসায়ী ও বিদেশী কূটনীতিকসহ দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাসহ সব কিছুতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সকল অংশী জনের সহযোগিতা চান।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিরা দেশে প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ শেষ করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যত দিন প্রয়োজন সময় দেওয়ার আশ্বাস দেন। এ  ব্যাপারে যত রকমের সহযোগিতা প্রয়োজন তা করারও আশ্বাস দেওয়া হয়। আর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকেও তাদের সহযোগিতার আশ্বাস সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করা হয়।

জানা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার আগে শুধু রাজনৈতিক দল নয়, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী ও বুদ্ধিজীবীসহ সকল অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় করবে। সকলের কাছ থেকে নেওয়া মতামত পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে সুবিধাজনক সময়ে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করবে।


সর্বশেষ সংবাদ