বিশেষজ্ঞ মত—অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সবার আগে যা করতে হবে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৫৬ PM , আপডেট: ০৮ আগস্ট ২০২৪, ০৯:৫৬ PM
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সবার আগে স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, যোগাযোগ, আইন, স্বাস্থ্যসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলো সচল করতে হবে। দেশে ভবিষ্যতে যেন আর কোনো কর্তৃত্ববাদী সরকার সৃষ্টি না হয়, সে জন্য রাজনৈতিক সংস্কারও জরুরি বলে জানিয়েছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে—রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতার মধ্য দিয়ে গড়তে হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এর আগে শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন রূপ নেয় গণঅভ্যুত্থানে। দেড় দশক ক্ষমতায় থাকার পর গণজোয়ারে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। ভেঙে দেওয়া হয় দ্বাদশ সংসদ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করা হয়েছে।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, ব্যবসা বাণিজ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থার সংস্কার জরুরি। সুশীল সমাজের একাংশ মনে করেন, স্বল্প পরিসরে হলেও স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র, আইন, যোগাযোগ, স্বাস্থ্যসহ বেশ কিছু খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ শুরু করা জরুরি।
আরও পড়ুন: জন্ম-বেড়ে ওঠা, শিক্ষকতা, নোবেল জয়— ড. ইউনূসের বর্ণিল জীবন
পরিবেশ আইনজীবী সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, পররাষ্ট্র যদি ড. ইউনূস সত্যিই নিজের হাতে নিয়ে নেন, তাহলে আমি মনে করি এটা ২-৩ দিনের ব্যাপার। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে অবস্থান তুলে ধরার ক্ষেত্রে। পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, পার্লামেন্টারি উইং (যারা ড্রাফট করবে), কৃষি, অর্থ—এগুলো জরুরি বলে আমি মনে করি। ঐক্যমত যেহেতু কয়েকটা নামের ব্যাপারে হয়ে গেছে, তাদের নিয়ে শুরু করা যেতে পারে।
শিক্ষার্থীরা ৩ বছরের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চাইলেও এর রূপরেখা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন মনে করে, সংবিধান সংস্কারসহ, নির্বাচন কমিশন গঠন, রাজনৈতিক দলের সংস্কার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতাসহ বেশ কিছু সংস্কার জরুরি।
আরও পড়ুন: ভারতকে যে চরম উভয় সঙ্কটে ফেলেছে শেখ হাসিনা
সুজনের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কিছু মৌলিক বিষয়ে একমত হওয়া দরকার, যাতে আবারও অতীতের পুনরাবৃত্তি না হয়। এটা নির্ভর করবে কত দ্রুত একটা কার্যকর প্রশাসনিক ব্যবস্থা শুরু করা যায়। কত দ্রুত প্রতিষ্ঠানগুলোকে একটা কার্যকর অবস্থানে নিয়ে যাওয়া যায়।
নতুন প্রজন্মের হাত ধরে আশার আলো জ্বলছে। এখন সব শ্রেণি পেশার মানুষের ভিন্নমতের প্রতি সহিষ্ণুতার চর্চা, দুর্নীতিমুক্ত ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ গড়ে উঠবে বলে প্রত্যাশা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।