ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ফিরে পেলেন সাইয়েদ আবদুল্লাহ

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ফিরে পেলেন সাইয়েদ আবদুল্লাহ
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ফিরে পেলেন সাইয়েদ আবদুল্লাহ  © ফাইল ছবি

পবিত্র ঈদুল আজহার আগে ১২ লাখ টাকার ছাগলের বায়না করা তরুণ মুশফিকুর রহমান ইফাতের কর্মকাণ্ড সামনে আনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী সাইয়েদ আবদুল্লাহর অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে ফেসবুক। ফেসবুকের নীতিমালা বা কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড লঙ্ঘনের কারণে তার অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্থগিত করার পর আবারো অ্যাকাউন্ট ফিরে পেলেন সাইয়েদ আবদুল্লাহ। মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল ৮ টার কিছু আগে তার আইডিতে দেয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।

পোস্টে তিনি বলেন, ‘Alhamdulillah. I'm back on track, People. ফেইসবুক একাউন্ট ফিরে এসেছে আমার। আপনাদের ক্রমাগত সাপোর্ট আর ভালোবাসার জন্য ধন্যবাদ।’

এর আগে মুশফিকুর রহমানের সাথে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (পরে সরিয়ে দেওয়া) মো. মতিউর রহমানের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে একাধিক পোস্ট দিয়েছিলেন সাইয়েদ আবদুল্লাহ। পরে মতিউর গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেন, মুশফিকুর তার ছেলে নন। কিন্তু সাইয়েদ আবদুল্লাহর অনুসন্ধান ও গণমাধ্যমের খবরে বেরিয়ে আসে মুশফিকুর এনবিআরের কর্মকর্তা মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে মতিউর পরিবারের বিপুল সম্পদের তথ্য উঠে আসছে।

অ্যাকাউন্ট স্থগিতের ব্যাখ্যায় ফেসবুক জানায়, তারা তিনটি বিষয় অনুমোদন দেয় না-১. এমন কোনো অ্যাকাউন্ট তৈরি করা যা অন্য কারও। ২. প্রতারণার জন্য অন্য কারও ছবি ব্যবহার করা এবং ৩. কোনো পেজ তৈরি করা, যা অন্যের হয়ে কথা বলে। এর মধ্যে কোনটি সাইয়েদ আবদুল্লাহর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, তা বলা হয়নি।

অ্যাকাউন্ট স্থগিতের বিষয়ে সাইয়েদ আবদুল্লাহ বলেন, ১৯ জুন পরিবারের ছবি দিয়ে মুশফিকুর ও মতিউরের সম্পর্কের বিষয়টি ফেসবুকে প্রকাশ করার পর রাতে তিনি নোটিফিকেশন পান যে তাঁর অ্যাকাউন্টে কেউ অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। তখন দুই ঘণ্টার জন্য ফেসবুক বন্ধ রাখা হয়। এরপর তা পুনরায় চালু হয়। কিন্তু ২২ জুন সকালে তিনি দেখতে পান তাঁর অ্যাকাউন্ট ‘সাসপেন্ড’ বা স্থগিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার ক্ষেত্রে ফেসবুক তাঁকে নির্দিষ্ট কোনো কারণ বলেনি। তবে জানানো হয়েছে, তাঁর কর্মকাণ্ড ফেসবুকের নীতিমালার সঙ্গে মেলে না। এ কারণেই অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়েছে।

সাইয়েদ আবদুল্লাহর ধারণা, তার অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ফেসবুকের কাছে একাধিক রিপোর্ট (অভিযোগ জানানো) করা হয়েছে। তিনি বলেন, ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে মানুষের মুখ বন্ধ রাখার চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে। তারা নাগরিক সাংবাদিকতাকে উৎসাহিত করছে না; যারা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কথা বলছে, তাদের সুরক্ষা দিতে পারছে না। উল্টো কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে। ফেসবুকের এ আচরণ দুর্নীতিবাজদের উৎসাহিত করবে।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence