পবিত্র হজ আজ, লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখর হবে আরাফাতের ময়দান

আরাফার ময়দান
আরাফার ময়দান  © ফাইল ফটো

আজ পবিত্র হজ। ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হাম্দা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাক’ (অর্থাৎ আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার)।

আজ ৯ জিলহজ। ইয়াওমুল আরাফা বা হাজিদের আরাফার ময়দানে অবস্থানের দিন। এই দিনকেই হজের দিন বলা হয়। এ বছর ১৫ জুলাই (শনিবার) ইয়াওমুল আরাফা। আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে বিশ্বের ২০ লাখ হজযাত্রী সমবেত হচ্ছেন ইসলামের স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানে।

আরও পড়ুন: বাংলাসহ ৫০ ভাষায় সম্প্রচার হবে হজের খুতবা, যেভাবে শুনবেন

পবিত্র হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে মিনায় মুসল্লিদের জড়ো হওয়ার মধ্য দিয়ে। শুক্রবার (স্থানীয় সময় ৮ জিলহজ) সকাল থেকে মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হলেও বৃহস্পতিবার দুপুরে ইসলামের পবিত্রতম স্থান কাবা শরিফ তাওয়াফের পর বিকেল থেকেই হাজিরা মক্কা থেকে আট কিলোমিটার দূরের মিনার উদ্দেশে কেউ হেঁটে, আবার কেউ গাড়িতে চড়ে মিনার উদ্দেশে রওনা দেন।

অন্যান্য দেশের হাজীদের সাথে বাংলাদেশের ৮৫ হাজার হাজীও রওনা হন মিনার পথে। এ সময় গুঞ্জরিত হয় তালবিয়া-‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক। লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক। ইন্নালহামদা ওয়াননি’মাতা লাকা ওয়াল মূলক, লা শারিকা লাক।’ মিনায় পৌঁছে হাজীরা ফজর থেকে শুরু করে এশা অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন নিজ নিজ তাঁবুতে। মিনায় রাতে অবস্থান করে হাজীরা মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন।

আরও পড়ুন: আরাফার দিনের বিশেষ ৩টি আমল

শনিবার (১৫ জুন) হাজীরা আরাফাত ময়দানে সমবেত হবেন। তবে গতকাল রাতেই অনেকে মিনা থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ঐতিহাসিক আরাফাতের ময়দানের দিকে রওনা হন। আরাফাতে যাওয়ার দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে মুসল্লিরা হেঁটে, হুইল চেয়ারে, বাসে- যে যেভাবে পারেন পৌঁছবেন। সেখানেই হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা হবে। মিনা থেকে এসে হাজিরা এখানে খুতবা শোনার পর একই সাথে জোহর ও আসরের নামাজ সংক্ষিপ্তভাবে আদায় করবেন। এ আরাফাতের ময়দানেই মানবতার মুক্তির দূত মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা: বিদায় হজের ভাষণ দিয়েছিলেন। এ বছর আরাফাতের ময়দানে হজের খুতবা দেয়ার জন্য মসজিদুল হারামের জনপ্রিয় ইমাম ও খতিব শায়খ ড. মাহের বিন হামাদ বিন মুয়াকল আল মুয়াইকিলিকে নিযুক্ত করেছেন সৌদি বাদশাহ। একইসাথে মসজিদে নামিরাতে নামাজ পড়াবেন তিনি।

আজ সূর্যাস্তের পর হাজিরা মাগরিবের নামাজ আদায় না করেই আরাফাতের ময়দান থেকে রওনা দেবেন প্রায় আট কিলোমিটার দূরে মুজদালিফার দিকে। সেখানে পৌঁছে মাগরিব ও এশার নামাজ একসাথে আদায় করবেন তারা। এখানে খোলা আকাশের নিচে রাত্রিযাপন করবেন।

তারপর মিনার জামারায় শয়তানকে (প্রতীকী) নিক্ষেপের জন্য পাথর সংগ্রহ করবেন। এরপর ফজরের নামাজ শেষে মুজদালিফা থেকে আবার মিনায় ফিরবেন হাজিরা। মিনায় প্রত্যাবর্তনের পর হাজীদের পর্যায়ক্রমে চারটি কাজ সম্পন্ন করতে হয়। শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, আল্লাহর উদ্দেশে পশু কোরবানি, মাথা মুন্ডন করা এবং তাওয়াফে জিয়ারত। এরপর ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান করে প্রতিদিন শয়তানকে তিনটি প্রতীকী পাথর নিক্ষেপ করবেন হাজিরা। সবশেষে কাবা শরিফকে বিদায়ী তাওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence