খিচুড়ির ভিডিও নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ফিরলেন রাফসান

ইফতেখার রাফসান
ইফতেখার রাফসান  © সংগৃহীত

আলোচনা-সমালোচনা ঝাপিয়ে প্রায় এক মাস পর আবারও খিচুড়ির ভিডিও নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফিরলেন রাফসান দ্যা ছোট ভাই খ্যাত ফুড ব্লগার ও ইউটিউবার ইফতেখার রাফসান। আজ রোববার (৯ জুন) রাত নয়টার দিকে তার ভেরিফাইট ফেসবুক পেজে ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লিখেন ৭০ বনাম ১৫০ বনাম ২০০ টাকার দুপুরের খাবার।

সর্বশেষ তিনি ১০ মে সবশেষ ফুড ব্লগিংয়ের ভিডিও তার পেজে আপলোড দিয়েছিলেন। জানা যায়, গত মাসের শুরুতে বাবা-মায়ের নেওয়া ব্যাংক ঋণ নিয়ে সমালোচনা পড়তে হয় এই ব্লগারকে। এরপর থেকে রাফসান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে আর ব্লগিংয়ের ভিডিও আপলোড করেননি। 

জানা যায়, গত মাসের শুরুতে মা-বাবাকে বিলাসবহুল গাড়ি উপহার দিয়ে রীতিমতো চমকে দিয়েছেন রাফসান দ্য ছোট ভাই ওরফে ইফতেখার রাফসান। তার কাণ্ডে আবেগে আপ্লুত বাবা-মায়ের চোখে খুশির অশ্রু গড়িয়েছে। রাফসানের এ পদক্ষেপে তিনি তার মা-বাবাকে নিয়ে চার বছর আগে দেখা স্বপ্নপূরণ করলেন। তবে এ খুশি বেশিক্ষণ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। তার কেনা ওই গাড়িকে কেন্দ্র করে শুরু হয় বিতর্ক ও সমালোচনা।  এর মধ্যেই সামনে আসে তার মা-বাবার আড়াই কোটি টাকার ব্যাংকঋণের একটি তথ্য।

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাফসান ও তার পরিবারকে কথা শোনাতে ছাড়েননি নেটিজেনরা। ‍শুরু হয় পক্ষে-বিপক্ষে তর্কবিতর্ক। তবে অবশ্য বিষয়টি রাফসানকে ঘিরে নয়, মূলত তার মা-বাবার ব্যাংকঋণ কেন্দ্র করে ছড়াচ্ছিল উত্তাপ। সেসময় বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাফসান ও তার পরিবারকে তুলোধুনা করছেন নেটিজেনরা। পক্ষে-বিপক্ষে তর্কবিতর্কও চলেছিল।

এর আগে, সাইয়েদ আবদুল্লাহ নামের এক ফেসবুক ব্যবহারকারী গত ১৩ মে প্রথম ব্যাংকঋণের তথ্যটি প্রকাশ করেন। তার এই পোস্টের পর থেকে তুমুল আলোচনায় চলে আসে রাফসান এবং তার পরিবার। সে কারণেই বিষয়টি নিয়ে আর চুপ থাকতে পারেননি রাফসান। নিজের ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে দিয়েছেন বিশদ বিবরণ।

এরপর ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে রাফসান বলেন, আমি নাকি ২ কোটি টাকার একটা গাড়ি কিনেছি, আর আমার বাবার নাকি ৩ কোটি টাকার লোন। এখানে কিছু ভুল তথ্য আছে। আমার এই গাড়ির দাম ২ কোটি টাকার আশপাশেও না।

বাবা-মায়ের ঋণ নেওয়ার কথা স্বীকার করে রাফসান বলেন, এটা আদালতের বিচারধীন। সেখান থেকে নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ঋণ পরিশোধ করব কীভাবে? কারণ, আদালত তো এখনো নির্ধারণ করে দেননি কত টাকা পরিশোধ করতে হবে। আপনারা জানেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হলে কিছু জিনিস বন্ধক রাখতে হয়। আমরা একটা জমি বন্ধক রেখেছি, সেটার দাম যদি ১০ টাকা হয়, আমরা ঋণ নিয়েছি এক টাকা। তারা এই ঋণের পরিবর্তে আমাদের ১০ টাকার জিনিসটা নিতে চায়। তাই আমরা আদালতে গিয়েছি।

 

সর্বশেষ সংবাদ