‘শিকারী মন নিয়ে ক্লাসে আসেন অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক’
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৪, ০৭:১৭ PM , আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৪, ০৭:২০ PM
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকের মাঝে এক ধরনের ‘শিকারী’ মানসিকতা রয়েছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক কাবেরী গায়েন। শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে ডয়চে ভেলে বাংলার ‘খালেদ মহিউদ্দীন জানতে চায়’ টকশো অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
অধ্যাপক কাবেরী গায়েন বলেন, আমাদের সমাজে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যেখানে শিক্ষকদের অনেকের মধ্যেই একটা প্রবণতা দেখা যায়, আমি বলছি না সবাই এমন, কিন্তু প্রথম ক্লাসে এসে তারা জয়েন করেন, তারপর যেসব শিক্ষার্থীদের তাদের ভালো লাগে, তাদের সাথে একটা রোমান্টিক সম্পর্ক থাকে।
তিনি বলেন, আমার এক জুনিয়র সহকর্মী বললেন যে অনেকের মধ্যে একটা ‘শিকারী মন’ আছে। তারা দেখা যাচ্ছে, একই ক্লাসের দুই তিনজনের সাথে তারা সম্পর্কে জড়ান, যা করার কথা না। এখানে একটা ‘কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্ট’ সৃষ্টি হয়। যদি কোনো শিক্ষক এমনটা করেন, তাহলে তিনটি অপরাধ এখানে সংগঠিত হয়।
অধ্যাপক গায়েন জানান, এই তিনটি অপরাধে আসলে ভালো নম্বরের প্রলোভন দেখানো হতে পারে। দ্বিতীয়ত, এতে করে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক দুই পক্ষেরই নীতিগত অবস্থান ক্ষুণ্ণ হয় ও শিক্ষার্থীর বাকি সহপাঠীদের জন্য তা একটি অন্যায্য আচরণ।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক মীজানুর রহমান বলেন, ধর্মস্থান বা শিক্ষালয়ে যৌন নিপীড়ন কোনো নতুন বিষয় না, এটা আগেও হতো। ইউরোপেও এমন ঘটনার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা তাদের ঘরের দরজা বন্ধ করতে পারবেন না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে নারী শিক্ষার্থীরা আগের চেয়ে অনেক সাহসী হয়েছেন। নারী আমাদের সমাজে এগিয়েছে তার সাহসের জন্য, পুরুষ তাকে জায়গা করে দিয়েছে, এমনটা নয়। কিন্তু তারপরেও বেশিরভাগ ঘটনা এখনও নথিভুক্ত হয় না।