ওয়ান টাইম প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ হবে

  © সংগৃহীত

ওয়ান টাইম প্লাস্টিক তৈরি ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সংসদে সরকারি দলের সদস্য ফেরদৌস আহমেদের আনা মনোযোগ আকর্ষণ নোটিসের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এছাড়া জাতীয় সংসদে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করে দৃষ্টান্ত সৃষ্টির আহ্বানও জানান পরিবেশমন্ত্রী।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, সংসদে প্রথমে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বন্ধ করার মাধ্যমে সারা দেশে একটি প্রসংশনীয় উদ্যোগ সৃষ্টি হবে, ভালো দৃষ্টান্ত হবে। যারা এ অবৈধ পণ্যগুলো তৈরি করবে, আমরা তাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে সংযুক্ত করতে চাই। সে তালিকা বা রুলস আমরা তৈরি করছি। একই সঙ্গে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় করছে বলে জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, সারা দেশে প্রতিদিন ৩০ হাজার টন কঠিন বর্জ্য তৈরি হচ্ছে। ঢাকায় প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে প্রায় ৭ হাজার টন। যার ১০ শতাংশ প্লাস্টিক বর্জ্য। আমরা আগামী ২ বছর ৯০ শতাংশ প্লাস্টিক ব্যবহার হ্রাস করার পরিকল্পনা করেছি। ওয়ান টাইম প্লাস্টিকের তালিকা করব। এটির উৎপাদন ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে চাই। সেই সঙ্গে আমরা আমাদের আচরণও পরিবর্তন করতে চাই। আর ওয়ান টাইম প্লাস্টিক এতটাই সহজলভ্য, এটি সব জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে আমরা সব সময় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, ঢাকা শহরে যেকোনো স্থানে প্লাস্টিক বর্জ্য যত্রতত্র পোড়ানোর কারণে টক্সিন, ডায়াক্সিন, সালফার-ডাই-অক্সাইড, কাবর্ণ-ডাই-অক্সাইড ইত্যাদি গ্যাস তৈরি হয়, যা মরণব্যাধি ক্যান্সারের কারণ। আমি শঙ্কিত, আমার এলাকার বিভিন্ন স্কুলের মাঠে প্লাস্টিক বর্জ্য রাখা হয়, পোড়ানো হয়, এটি রোধে মন্ত্রীর ভাবনা কী?

জবাবে মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, এ ধরনের প্লাস্টিক পোড়ানোর অধিকার কাউকে দেয়া হয়নি। কিছুদিন আগে আমি স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পাশের একটি জায়গায় প্লাস্টিক পোড়ানো হয়। সচিবালয় থেকে আমরা তা লক্ষ করেছিলাম। অথচ এসব বর্জ্য পোড়ানোর বিরুদ্ধে অনেকগুলো আইন আছে। কিন্তু আমরা তা সঠিকভাবে কার্যকর করতে পারছি না। এটি দেখা দরকার।

এ সময় তিনি সংসদ সদস্যদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ওয়ান টাইম প্লাস্টিক ব্যবহার ও পোড়ানো বন্ধ— সর্বোপরি বায়ু দূষণের হাত থেকে নিজ শহরকে রক্ষার আহ্বান জানান তিনি।

সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমানের মনোযোগ আকর্ষণ বিষয়ক আরেকটি নোটিসের জবাবে পরিবেশ বন ও জলবায়ু বিষয়কমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় হাওড় হাকালুকি হাওড়ে গাছ লাগানোর কর্মসূচি নেয়া হবে। শুধু গাছ লাগানোর কর্মসূচি নয়, দেশে যেসব হাওড় এবং বিভিন্ন জায়গায় জলাভূমি আছে, সেগুলো চিহ্নিত করতে একটি ডিজিটাল ম্যাপিংয়ের চেষ্টা করছি। এ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিজিটাল ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো রক্ষা করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ