এশিয়ার সেরা ১ হাজারে নেই বাংলাদেশের কোনো গবেষক

আলপার ডজার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স র‌্যাঙ্কিং প্রকাশিত হয়েছে
আলপার ডজার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স র‌্যাঙ্কিং প্রকাশিত হয়েছে  © ফাইল ছবি

বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানী ও গবেষকদের নিয়ে আলপার ডজার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স র‌্যাঙ্কিং প্রকাশিত হয়েছে। এতে বিশ্বের ২১৯টি দেশের ২২ হাজার ৭৬৭টি বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্ট গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ১৪ লাখ ৪৩ হাজার ৯৩ জন বিজ্ঞানী ও গবেষক স্থান পেয়েছেন। এ তালিকায় এশিয়ার সেরা এক হাজারে নেই বাংলাদেশের কোনো গবেষক।

সম্প্রতি আন্তর্জাতিক উচ্চশিক্ষালয় ও গবেষকদের নিয়ে কাজ করা বৈশ্বিক র‍্যাঙ্কিং সংস্থা অ্যালপার ডগার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্স ‘ওয়ার্ল্ড সায়েন্টিস্ট র‍্যাংকিং-২০২৪’ নামে এ তালিকা প্রকাশ করেছে। র‌্যাঙ্কিং প্রকাশের ক্ষেত্রে এডি সায়েন্টিফিক ইনডেক্সে বিবেচনায় নিয়েছে গবেষকদের গুগল রিসার্চ প্রোফাইলের বিগত ছয় বছরের গবেষণার এইচ-ইনডেক্স, আইটেন ইনডেক্স এবং সাইটেশন স্কোর।

তালিকায় বাংলাদেশের ২০১টি বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রতিষ্ঠানের ১০ হাজার ৩৩ জন বিজ্ঞানী এবং গবেষক স্থান করে নিয়েছেন। এবারের তালিকায় রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৬৬৫ জন শিক্ষক ও গবেষক। একক বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটি বাংলাদেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। 

তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে সংস্থাটি বিশ্বের শীর্ষ গবেষকদের মোট ১২ শ্রেণিতে বিভাজিত করেছে। এর মধ্যে রয়েছে কৃষি ও বনবিদ্যা; শিল্পকলা, নকশা এবং স্থাপত্য; ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা; অর্থনীতি; শিক্ষা; প্রকৌশল ও প্রযুক্তি; ইতিহাস ও দর্শন; আইন; চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য বিজ্ঞান; প্রাকৃতিক বিজ্ঞান; সামাজিক বিজ্ঞান এবং অন্য বিষয়।

সম্প্রতি প্রকাশিত এ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে রয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার কিয়ংপুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির গবেষক এইচ জে কিম। তালিকায় সেরা দশজনের সাত জনই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক। অন্যরা দক্ষিণ কোরিয়া এবং স্পেনের নাগরিক।

এবারের বার্ষিক তালিকায় বাংলাদেশের ১০ হাজার ৩৩ জন গবেষকের নাম এসেছে। এতে শীর্ষ দু’জন আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআর,বি) গবেষক। প্রথমজন হলেন প্রতিষ্ঠানটির গবেষক রাশেদুল হক এবং দ্বিতীয়জন হলেন ফেরদৌসি কাদেরি। এছাড়া তালিকায় স্থান পেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ২৭০ জন গবেষক।

আরো পড়ুন: খণ্ডকালীন চাকরিতে পুরুষের চেয়ে এগিয়ে নারীরা

বাংলাদেশ থেকে প্রথম হওয়া রাশেদুল হকের বৈশ্বিক অবস্থান ১১ হাজার ৫১৪তম। আর এশিয়ার মধ্যে অবস্থান এক হাজার ১১৫তম। আর দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা একই প্রতিষ্ঠানের গবেষক ফেরদৌসি কাদেরির বৈশ্বিক অবস্থান ১৯ হাজার ৯৭১তম। এশিয়ার মধ্যে অবস্থান দু’হাজার ১০৯তম।

অন্যদিকে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভের (ইউডা) মোহাম্মদ রহমতউল্লাহর বৈশ্বিক অবস্থান ৩২ হাজার ৭০০তম এবং এশিয়ার মধ্যে তিন হাজার ৭২২তম। অর্থাৎ আঞ্চলিক র‌্যাঙ্কিং বিচারে তালিকায় স্থান হয়নি দেশীয় কোনো গবেষকের।

তালিকার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ৬৬৫ জন শিক্ষক বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে স্থান পেয়েছেন। এছাড়া ৫০৩ জনের স্থান হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। ৪৫৬ জনের স্থান পেয়েছেন বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে।

তালিকায় আরও রয়েছে—বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৩৯২ জন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৭, শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৭৮, আইসিডিডিআর,বি’র ২৭০, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৩ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭৪ জন।


সর্বশেষ সংবাদ