‘কিন্ডারগার্টেন’ নামেই নিবন্ধন চান মালিকরা

মানববন্ধনে বক্তারা
মানববন্ধনে বক্তারা  © সংগৃহীত

সরকার প্রণীত ‘বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিধিমালা-২০২৩’ সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক-পরিচালকরা। এক্ষেত্রে ‘বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’ নয় কিন্ডারগার্টেন নামেই নিবন্ধন চান তারা।  

রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এসব দাবি আদায়ে মানববন্ধন করেন তারা। এতে বিভিন্ন স্কুলের দুই শতাধিক মালিক-পরিচালক অংশ নেন।

তাদের দাবিগুলো হলো- কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠানগুলো ‘কিন্ডারগার্টেন’ স্কুল নামেই বহাল রাখা, শিক্ষক নিয়োগবিধি শিথিল করা, শিক্ষকদের বেতন সরকারি তহবিল থেকে প্রদান করা এবং কিন্ডারগার্টেনে স্কুল নীতিমালা প্রণয়নে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রতিনিধি রাখা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশে ব্যক্তিমালিকানাধীন কিন্ডারগার্টেন ও সমমনা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৫৩ হাজারের বেশি। যে প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সামান্য বেতন নিয়ে ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ প্রণীত ‘বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিধিমালা’র নতুন সংশোধনীর কথা গণমাধ্যমেও দেখা যাচ্ছে।

তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় চার কোটি। এর মধ্যে প্রায় আড়াই কোটি শিক্ষার্থী বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অধ্যয়নরত। এছাড়া ৫৩ হাজার কিন্ডারগার্টেনে প্রায় আট লাখ শিক্ষকের পরিবার এ সেক্টরের ওপর নির্ভরশীল। এ সেক্টরের পড়াশোনার মান যেমন ঈর্ষণীয়, তেমনি শিক্ষা উদ্যোক্তার মাধ্যমে সেক্টরটি বেকারত্ব নিরসনে নিরলসভাবে কাজ করছে। তাই আমরা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিধিমালা সংশোধনের জোর দাবি জানাচ্ছি।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম খন্দকার। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কিন্ডারগার্টেন ও সমমনা স্কুল রক্ষা জাতীয় কমিটির সাবেক প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ আব্দুল অদুদ ও বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব জি এম জাহাঙ্গীর কবির রানা প্রমুখ।

এর আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী- দেশে কোনো কিন্ডারগার্টেন থাকবে না। সব ধরনের কিন্ডারগার্টেন কেজি স্কুলগুলো এখন থেকে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে পরিচিতি পাবে।

জারি হতে যাওয়া এ বিধিমালায় স্কুলে প্রাথমিক অনুমোদন, নিবন্ধন, নবায়ন, শিক্ষক নিয়োগ, ভবনের জমির আয়তন, তহবিল গঠন ও পরিচালনা, ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা মনে করছেন  প্রতিষ্ঠান চালানো মালিকপক্ষ কোনো ধরনের অজুহাত দেখাতে পারবেন না।  


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence