পরিবর্তিত শিক্ষাক্রমের সুফল পেতে ৪-৫ বছর সময় লাগবে: শিক্ষামন্ত্রী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৩, ০৩:৩৮ PM , আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৩, ০৩:৩৮ PM
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ২০০৮ সালে আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে অঙ্গীকার ছিল আমরা শিক্ষার সকল পর্যায়ের মান উন্নয়ন করবো। সে কাজটি আমরা খুব বড় আকারে করেছি। শিক্ষার মান একদিনে উন্নত হয় না, কিন্তু আপনাকে কাজটা করতে হবে।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষমেলা উদ্বোধনের আগে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নে আমাদের একটি যুগোপযোগী শিক্ষাক্রম দরকার। আমরা সেই নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করেছি এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। শিক্ষক দরকার হয়। আমরা ব্যাপক হারে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরু করেছি। একই সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন লাগে, প্রযুক্তি লাগে, সেগুলো ব্যবহার করছি।
দীপু মনি বলেন, আজকে উচ্চ শিক্ষায়ও ব্যাপকভাবে গবেষণা থেকে শুরু করে শিক্ষক প্রশিক্ষণসহ সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছি। এই পরিবর্তনটা যে সূচিত হয়েছে তার ফলাফল দেখতে আমাদের ৪-৫ বছর সময় লাগবে। কিন্তু আমাদের প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা তারা যে নতুন শিক্ষাক্রমে শিখছে এবং পুরো শিক্ষায় তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে, তাদের দক্ষতায় যে বিরাট পরিবর্তন আসছে এটি এখনই দৃশ্যমান। বিশেষ করে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে। এটি সবাই দেখছেন, দেখতে পাবেন। আগামী ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন আরও দৃশ্যমান হবে। শিক্ষাক্রমের পরিবর্তনের ফলাফল দেখতে আরও কয়েক বছর সময় লাগবে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা যা বলেন, তা তিনি করেন। শিক্ষায় মান উন্নয়ন করবেন বলেছেন, আমরা তার সার্বিক দিক-নির্দেশনায় শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। সেউ উন্নয়ন আপনারা সবাই ইনশাআল্লাহ দেখতে পাবেন—যুক্ত করেন শিক্ষামন্ত্রী।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, নির্বাচন যে কোনো একটি গণতান্ত্রিক দেশের জন্য গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে অন্যতম বাহক। প্রত্যেক দেশ তাদের আইন অনুযায়ী নির্বাচন করে। যারা এখন আমাদের সঙ্গে এসে দেখা করছেন তাদের দেশেও একইভাবে হয়। আমাদের সংবিধান আছে, নির্বাচন সুষ্ঠু করবার জন্য সকল ব্যবস্থা আছে। কাজেই এখানে ভিন্ন কিছু চিন্তা করার কোনো অবকাশ নেই। যথাসময়ে, যথানিয়মে, আইন-কানুন মেনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। একটি বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের প্রত্যাশা সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ, পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যন আইয়ুব আলী বেপারী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা সুলতানা।