আড়াই কোটি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিচ্ছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী

কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা  © সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জন্যই আমরা ঘর-জমি ও জীবিকার ব্যবস্থা আমরা করতে পারব। তিনি বলেন, আমরা কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ওষুধ দিচ্ছি, শিক্ষার ব্যবস্থা করছি। আড়াই কোটি শিক্ষার্থীকে আমরা বৃত্তি দিচ্ছি। এছাড়া বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজের মধ্য দিয়ে আমরা মানুষকে সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

শনিবার (১ জুলাই) দুপুরে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বাবা এই দেশ স্বাধীন করে গেছেন। তার স্বপ্ন পূরণ করে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়া আমার লক্ষ্য। আজকে দেশে হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা মাত্র পাঁচ শতাংশ। সেটাও যেন না থাকে সেই ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি। দেশের একজন মানুষও হতদরিদ্র থাকবে না।

এই বাংলাদেশ লাখো শহীদের রক্তের বাংলাদেশ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বাংলাদেশের জন্য জাতির পিতা সংগ্রাম করে গেছেন। এই বাংলাদেশ সারা বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে। বাংলাদেশের মানুষ মর্যাদা নিয়ে চলবে। সেটাই আমি চাই।

তিনি বলেন, যারা চায়নি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসুক, এ দেশের মানুষ পেট ভরে ভাত খাক, চিকিৎসা পাক, শিক্ষা পাক তাদের কাছে আমার চ্যালেঞ্জ। আমার বাবা যে লক্ষ্য নিয়ে এই দেশ স্বাধীন করেছেন সেটা আমি পূরণ করবো। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন করা এটাই আমাদের লক্ষ্য।

নিজের ভাগ্য গড়তে আসিনি, এসেছি বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পদ্মা সেতু। অনেকেই মিথ্যা অপবাদ দিতে চেয়েছিল। নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করেছি। এটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা। আর এই শক্তিটা আপনারাই যুগিয়েছেন—যুক্ত করেন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে কিছু মানুষ আছে যারা দেশের ভালো কিছু চোখে দেখতে পায় না। যারা চোখ থাকতেও অন্ধ তাদেরকে কিছু বলার নেই। শুধু এতটুকুই বলব তারা চোখে দেখে না কিন্তু ঠিকই ভোগ করে। তাদের ব্যাপারে করুণা ছাড়া আর কিছু করার নেই এবং তাদের আমি করুণাই করি।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ৮টায় গণভবন থেকে সড়কপথে গোপালগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হন। ৮টা ৫০ মিনিটে পদ্মা সেতু হয়ে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি কোটালীপাড়া পৌঁছান। এ সময় স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাকে স্বাগত জানান। স্লোগানে স্লোগানে প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করে নেন। পরে তিনি কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন শেষে কার্যালয় চত্বরে তিনটি গাছের চারা রোপণ করেন সরকারপ্রধান। এ সময় তিার সঙ্গে ছিলেন ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence