স্বপ্ন সুপারশপে নারী-শিশুকে আটকে রেখে নির্যাতন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৩, ০৩:১৮ PM , আপডেট: ২৬ জুন ২০২৩, ০৩:১৮ PM
হবিগঞ্জ শহরে স্বপ্ন সুপারশপে সাবান-টুথপেস্ট চুরির অভিযোগে ছয় বছরের শিশু ও তার মাকে চার ঘণ্টা বাথরুমে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। প্রায় চার ঘন্টা আটকে রাখার পর ওই নারীর কাছ থেকে ৬২ হাজার টাকা আদায় করে সন্তানসহ তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। ছাড়া পেয়ে ওই নারী রাস্তায় এসে বিষয়টি জানালে স্থানীয়রা শহরের আরডি হল এলাকায় আরশ বিল্ডিংয়ে স্বপ্ন সুপারশপের সামনে বিক্ষোভ করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে স্বপ্ন সুপারশপের ম্যানেজার আনিসুর রহমানকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। একইসঙ্গে অভিযোগকারী নারী ও শিশুকেও থানায় নেয় পুলিশ।
আরো পড়ুন: মেসির জার্সি নম্বর জানাল মায়ামি
পরে গভীর রাতে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ওসি গোলাম মর্তুজার মধ্যস্থতায় স্বপ্নের ম্যানেজারকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় স্বপ্নের হবিগঞ্জের এজেন্ট মোদারিছ আলী টেনুসহ শহরের প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তি থানায় উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ওসি গোলাম মর্তুজা বলেন, রোববার (২৬ জুন) দুপুরে এক নারী তার ছয় বছরের মাদরাসাপড়ুয়া ছেলেকে নিয়ে স্বপ্ন সুপারশপে চাল কিনতে যান। বের হওয়ার সময় ছেলের পকেটে চকলেট, টুথপেস্ট, সাবানসহ কয়েকটি জিনিস পাওয়া যায়। এ ঘটনায় স্বপ্ন সুপারশপের ম্যানেজার আনিসুর রহমান ওই নারী ও তার ছেলেকে কয়েক ঘণ্টা বাথরুমে আটকে রেখে ৬২ হাজার টাকা আদায় করেন।
ছাড়া পেয়ে ওই নারী রাস্তায় গিয়ে কান্নাকাটি করে স্থানীয়দের বিষয়টি জানান। পরে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। সন্ধ্যায় সদর মডেল থানার পুলিশ গিয়ে ম্যানেজার এবং অভিযোগকারী নারী ও তার ছেলেকে থানায় নিয়ে আসে।
অভিযোগকারী নারী জানান, তার স্বামী বিদেশে থাকেন। ছেলেকে হবিগঞ্জের একটি মাদরাসায় পড়ান। তার ছেলের পকেটে চকলেট, টুথপেস্ট পাওয়ায় স্বপ্ন সুপারশপের ম্যানেজার দুপুর ২টায় সন্তানসহ তাকে মুখ চেপে ধরে বাথরুমে আটকে রাখেন। এমনকি পানি খেতে চাইলে এক গ্লাস পানিও তাকে দেননি স্টাফরা। এরপর ব্যাংকের মাধ্যমে ৬২ হাজার টাকা নিয়ে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে ও তার ছেলেকে ছেড়ে দেন। বের হয়ে রাস্তায় এসে কান্নাকাটি করে বিষয়টি লোকজনদের জানালে তারা পুলিশকে জানান।
এ বিষয়ে ওসি গেলাম মর্তুজা আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ম্যানেজার তাদেরকে আটকে রেখে ৬২ হাজার টাকা আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে বিষয়টি প্রকাশ হলে সম্মানহানি হবে ভেবে ওই নারী আইনি ঝামেলায় জড়াতে চাননি। তাই সেই টাকা ম্যানেজারের কাছ থেকে উদ্ধার করে ওই নারীকে ফিরিয়ে দিয়ে বিষয়টি সমঝোতার মাধ্যমে শেষ করা হয়েছে।