থ্রেট না দিয়ে আমাকে মেরে ফেললেই তো হয়: আঁখির স্বামী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৯ জুন ২০২৩, ১২:০৬ PM , আপডেট: ১৯ জুন ২০২৩, ১২:৪১ PM
সেন্ট্রাল হাসপাতালে ডেলিভারির সময় ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যুর পর মা ইডেন কলেজছাত্রী মাহবুবা রহমান আঁখিও মারা গেছেন। রোববার (১৮ জুন) রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে দুপুর ২টার পর তার মৃত্যু হয়। এরপর থেকে আঁখির স্বামীকে বিভিন্নভাবে কে বা করা থ্রেট দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সুমন বলেন, ‘কয়েক জন লোক আমার কাছে এসেছে। আমি তাদের চিনি না। আমকে এসব খবর ছড়াছড়ি না করতে বলেছে। এক ধরণের থ্রেড মূলক কথা বার্তা বলেছে তারা।’
আখিঁর স্বামী আরও বলেন, ‘এই জন্যই মিডিয়ার ভাইদেরকে সহ আরও অনেককে বলেছিলাম। এতো থ্রেড-ট্রেড না দিয়ে আমাকে আড়ালে নিয়ে মেরে ফেললেই তো হয়। ঝামেলার সামাধান হয়ে যাবে। আমার মতো এক ইয়াকুব আলী সুমকে আড়াল করতে তো এদের জন্য কোনো ব্যপার না।’
সোমবার (১৯ জুন) সকালে সুমন জানান, কুমিল্লার লাকসামে বাবার কবরের পাশেই তাদের কবরস্থ করা হবে। এখন পর্যন্ত আঁখি এবং আমার নবজাতকের লাশ ঢাকা মেডিকেলেই আছে। আঁখির ময়নাতদন্ত শেষ হলে তাকে কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (৯ জুন) প্রসব বেদনা শুরু হয় আঁখির। সেই রাতেই ডেলিভারির জন্য ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনে প্রসূতি আঁখিকে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করালে ডা. সংযুক্তা সাহার বদলে ডেলিভারি করতে যান ডা. মিলি।
ডা. মিলি ওই প্রসূতির পেট কাটতে গিয়ে মূত্রনালি ও মলদ্বার কেটে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়ে রোগী জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। অজ্ঞান অবস্থায় সিজার করে বাচ্চা বের করার পর বাচ্চার হার্টবিট কমে গেলে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। কিছুক্ষণ পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নবজাতককে মৃত ঘোষণা করে।
এ ঘটনায় বুধবার (১৪ জুন) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি থানায় সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে মামলা করেন ইয়াকুব আলী। মামলার আসামিরা হলেন- সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডা. মুনা সাহা (২৮), ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা (৩৮), অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার সহকারী মো. জমির, ডা. এহসান, ডা. মিলি ও সেন্ট্রাল হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজসহ আরও অজ্ঞাত ৫-৬ জন।
বুধবার এজাহার নামীয় দুই আসামি ডা. মুনা সাহা ও ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানাকে গ্রেপ্তার করে ধানমন্ডি থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) আদালতে তুললে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।