আরও বাড়বে মোবাইল ফোনের দাম
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৩, ০৭:০০ PM , আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২৫, ১০:২৫ AM
দেশে তৈরি মোবাইল ফোনের ওপর ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। এই প্রস্তাব কার্যকর হলে মোবাইল ফোনের দাম আরও বাড়বে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী মোবাইল ফোনের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করেছিলেন। সেই প্রস্তাব পাসের পরে মোবাইল ফোনের দাম বাড়ে। এবারের বাজেটে ভ্যাট প্রস্তাবের ফলে মোবাইল ফোনের দাম আরও বাড়বে।
বৃহস্পতিবার (০১ জুন) এবার বাজেটের ডিজিটাল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর আগে দুপুরে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তিন ধরনের দেশি কোম্পানির (স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে) মোবাইল ফোনের উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট বসানোর প্রস্তাব করেছেন। তিনি বলেন, যেসব কোম্পানি যন্ত্রাংশ নিজেরা তৈরি করবে এবং মোবাইল ফোন উৎপাদন করবে, সেসব কোম্পানির ওপর শূন্য (০) শতাংশের পরিবর্তে ২ শতাংশ হারে ভ্যাট বসবে।
অপরদিকে যেসব কোম্পানি মোবাইল ফোন সংযোজন করে, তাদের বেলায় দুইভাবে ভ্যাটের প্রস্তাব করা হয়েছে। যেসব কোম্পানি অন্তত দুটি যন্ত্রাংশ নিজেরা তৈরি করে মোবাইল ফোন বানায়, তাদেরকে ৩ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হবে।
আর যারা সব যন্ত্রাংশ আমদানি করে শুধু মোবাইল সংযোজন করে, তাদেরকে ৫ শতাংশের পরিবর্তে সাড়ে ৭ শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে হবে। ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত নতুন ভ্যাটের এই প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেট প্রস্তাবকালে অর্থমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত হবে ২০ শতাংশের ওপরে; বিনিয়োগ হবে জিডিপির ৪০ শতাংশ। শতভাগ ডিজিটাল অর্থনীতি আর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি-ভিত্তিক স্বাক্ষরতা অর্জিত হবে। সবার দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে যাবে। স্বয়ংক্রিয় যোগাযোগ ব্যবস্থা, টেকসই নগরায়ণসহ নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সব সেবা থাকবে হাতের নাগালে। তৈরি হবে পেপারলেস ও ক্যাশলেস সোসাইটি। সবচেয়ে বড় কথা, স্মার্ট বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত হবে সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা।
জাতীয় সংসদে সরকারের বর্তমান মেয়াদের শেষ বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি দেশের ৫২তম এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৩তম বাজেট। আকারের দিক থেকে এটিই দেশের বৃহত্তম বাজেট।‘স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ এই প্রতিপাদ্যে বাজেট বক্তব্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, জাতীয় নির্বাচনের বছরে অর্থনৈতিক কার্যক্রম চাঙ্গা করতে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমের বিশাল বর্ণনা তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী।
আগামী অর্থবছরে তিন হাজার ৯০০ কোটি টাকা অনুদানসহ আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ তিন হাজার ৯০০ কোটি টাকা, যা চলতি অর্থবছরের চেয়ে প্রায় সাড়ে ১৩ শতাংশ বেশি। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) আয় করতে হবে চার লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
রাজস্ব বোর্ড বহির্ভূত কর থেকে আসবে ২০ হাজার কোটি টাকা ও কর ছাড়া আয় ধরা হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে চার লাখ ৩৬ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা।