গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ৪০.২৪ শতাংশ প্রার্থীর যোগ্যতা এসএসসির নিচে

সংবাদ সম্মেলন
সংবাদ সম্মেলন  © সংগৃহীত

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর মিলিয়ে ৩৩৩ প্রার্থীর ৪০.২৪ শতাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। এছাড়া মোট প্রার্থীর ২৯.৭৩ শতাংশই মামলার আসামি। সোমবার (২২ মে) গাজীপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন)।

সুজন জানায়, ৪০.২৪ শতাংশ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। এদের মধ্যে আট মেয়র প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজনের (৬২.৫০ শতাংশ) শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতকোত্তর, একজনের (১২.৫০ শতাংশ) এসএসসি এবং দুজনের (২৫ শতাংশ) এসএসসির নিচে।

স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জায়েদা খাতুন মনোনয়নপত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করেছেন স্বশিক্ষিত এবং জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী রাজু আহাম্মেদ অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন।

স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারীদের মধ্যে রয়েছেন আজমত উল্লা খান (এলএলএম), এম এম নিয়াজ উদ্দিন (এমএসএস), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান (তাকমিল), স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার শাহনুর ইসলাম (এমবিএ) ও হারুন-অর-রশীদ (এমএ)। শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি উল্লেখ করা প্রার্থী হলেন গণফ্রন্টের আতিকুল ইসলাম।

৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডের ২৪৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৯২ জনের (৩৭.৪০ শতাংশ) শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। ৩৯ জনের (১৫.৮৫ শতাংশ) এসএসসি এবং ৪৩ জনের (১৭.৪৮ শতাংশ) এইচএসসি। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী প্রার্থীর সংখ্যা যথাক্রমে ৫০ (২০.৩৩ শতাংশ) ও ২১ জন (৮.৫৪ শতাংশ)। একজন (০.৪১ শতাংশ) শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘর পূরণ করেননি।

১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ৭৯ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে প্রায় অর্ধেক অর্থাৎ ৪০ জনের (৫০.৩৩ শতাংশ) শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী প্রার্থীর সংখ্যা যথাক্রমে ১২ (১৫.১৯ শতাংশ) ও আটজন (১০.১৩ শতাংশ)। অন্যদিকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস প্রার্থীর সংখ্যা যথাক্রমে ১০ (১২.৬৬ শতাংশ) ও ৯ জন (১১.৩৯ শতাংশ)।

বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৩৩৩ প্রার্থীর মধ্যে অর্ধেকের বেশির (১৮৪ জন, ৫৫.২৬ শতাংশ) শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি ও তার নিচে। এর মধ্যে ১৩৪ জন (৪০.২৪ শতাংশ) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গণ্ডি অতিক্রম করেননি। পক্ষান্তরে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী প্রার্থীর সংখ্যা মাত্র ৯৬ জন (২৮.৮৩ শতাংশ)।

২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের সঙ্গে তুলনা করে দেখা যায়, ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে স্বল্পশিক্ষিত প্রার্থীর হার কিছুটা কমেছে। ২০১৮ সালে এসএসসি ও তার নিচে ছিল ৬০.৮৬ শতাংশ, যা এবার ৫৫.২৬ শতাংশ।

অন্যদিকে উচ্চ শিক্ষিত (স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী) প্রার্থীর হার বেড়েছে। ২০১৮ সালে এ সংখ্যা ছিল ২৪.০৫ শতাংশ। ২০২৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২৮.৮৩ শতাংশ। স্বল্পশিক্ষিত প্রার্থীর হার হ্রাস পাওয়া এবং উচ্চ শিক্ষিত প্রার্থীর হার বৃদ্ধি পাওয়া নিঃসন্দেহে ইতিবাচক বলছে সুজন।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence