মে’তে ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’র আশঙ্কা, মাঝামাঝিতে আঘাত হানতে পারে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:০৪ AM , আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৩৪ AM
আগামী ৯ থেকে ১১ মে’র মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। এটি উপকূলে আঘাত হানতে পারে ১১ থেকে ১৫ মে’র মধ্যে। ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হলে এর নাম হবে ‘মোচা’। নামটি দিয়েছে ইয়েমেন।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) রাতে মার্কিন গ্লোবাল ফোরকাস্ট সিস্টেম এ আশঙ্কার কথা জানিয়েছে।
কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানান, সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুসারে, ১১ মে মধ্যরাতের পর থেকে ১৩ মে’র মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হানতে পারে। বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানলে বাতাসের সম্ভাব্য গতিবেগ থাকতে পারে ১৫০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার।
মোস্তফা কামাল পলাশ বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি আঘাতের স্থান প্রত্যেক দিনের পূর্বাভাসে পরিবর্তিত হতে পারে। এটি ভারতের ওড়িশা রাজ্যের উপকূলে আঘাতের শঙ্কাও নাকচ করা যায় না। বাংলাদেশ ও ভারতের উপকূলে আঘাত হানলে সম্ভাব্য সময় মে মাসের ১৩ থেকে ১৫ তারিখ। বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হলে নাম হবে ‘মোচা’।
চারদিন আগে আবহাওয়া সংস্থা ওয়েদার অব কলকাতার কর্মকর্তা রবীন্দ্র গোয়েঙ্কা বলেন, মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরের আবহাওয়া পরিস্থিতি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির অনুকূল থাকবে। তবে ঝড়টি কবে কোথায় তৈরি হবে তা এত আগে বলা সম্ভব নয়। ঝড়টি তৈরি হলে তখন তার গতিপথ নির্দিষ্ট করে বলা যাবে। আমরা পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছি।
আরও পড়ুন: বিভিন্ন জেলায় কালবৈশাখী ও শিলাবৃষ্টির আভাস
এর আগে, ২০২০ সালের মে মাসেও বাংলাদেশের উপকূলীয় কয়েকটি জেলা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানে একাধিক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। আয়লা, আমফানের মতো ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
এদিকে, দেশের ৫৮টি জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে কালবৈশাখী বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (২৯ এপ্রিল) রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, ফরিদপুর, ঢাকা, টাঙ্গাইল, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।