ঈদের ছুটিতে পর্যটকের ঢল নেমেছে কুয়াকাটায়
- বরিশাল প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৩, ০৪:৫৩ PM , আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৩, ০৪:৫৩ PM
দীর্ঘ এক মাস পর প্রাণ ফিরে পেয়েছে সাগরকন্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। ঈদের প্রথম দিন বিকালে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি কুয়াকাটা সৈকতে ভিড় জমিয়েছেন হাজারো পর্যটক। তবে সমুদ্রসৈকতে আসা পর্যটকের বেশির ভাগই স্থানীয় বলে জানিয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। এসব পর্যটকের সার্বিক নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ তৎপর রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে কুয়াকাটায় বিভিন্ন বয়সের অন্তত ১০ হাজার মানুষ সৈকতে নেমেছে। সৈকতে আগত এসব পর্যটক সমুদ্রে সাঁতার কেটে, ওয়াটার বাইকে গভীর সমুদ্রে ঘুরে, প্রিয়জনের সঙ্গে ছবি তুলে ঈদ আনন্দ উপভোগ করছেন। অনেকে আবার সৈকতের ব্যাঞ্চে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
আগত পর্যটকদের বেশির ভাগই তরুণ তরুণী। তারা বরিশাল বিভাগের আশপাশের উপজেলা থেকে এসেছে। বেশির ভাগ পর্যটক সন্ধ্যার পরপর গন্তব্য ফিরে গেছে। কিছুসংখ্যক পর্যটক আবাসিক হোটেলে উঠেছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রচণ্ড গরম ও ঈদের প্রথম দিন থাকায় দূরের পর্যটকরা কম এসেছেন।
বরগুনার আমতলী উপজেলা শহর থেকে ঘুরতে এসেছেন রিয়াজ রহমান। তিনি বলেন, আমি ঢাকার একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত আছি। পরিবারের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটাতে এলাকায় এসেছি। অনেক দিন কুয়াকাটা আসতে পারিনি। তাই বন্ধুরা মিলে এখানকার সৌন্দর্য উপভোগ করতে আসলাম। শেষ বিকালের সৌন্দর্য আমাকে বিমোহিত করেছে।
সৈকতের জিরো পয়েন্ট এলাকার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী আলমাস হাওলাদার বলেন, আগত পর্যটকরা কিছুই কিনছেন না। শুধু ফ্রিজের ঠান্ডা পানীয় কিনছেন।
বিচ ট্যুরিজমের সত্তাধিকারী আনোয়ার হোসেন আনু জানান, ঈদের প্রথম দিন দূরের পর্যটক কম আসলেও স্থানীয়দের সংখ্যা ছিল চোখে পড়ার মতো। আজ ঈদের দ্বিতীয় দিনে দূরের পর্যটকরা আসতে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে আবাসিক হোটেল কক্ষ বুকিং দেওয়ার জন্য তারা যোগাযোগ করছেন।
আবাসিক হোটেল সি-ভিউর ম্যানেজার সোলায়মান ফরাজী বলেন, দ্বিতীয় দিন থেকে আমার হোটেলের সবগুলো কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। আশা করি এবারের ঈদে রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক আসবেন।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের ইনচার্জ হাসনাইন পারভেজ বলেন, ঈদের দিন কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতে আগতদের মধ্যে পর্যটকদের সংখ্যা খুবই কম দর্শনার্থীদের সংখ্যা বেশি। ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়বে। আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে আমাদের টহল জোরদার করা হয়েছে। আগামীকাল থেকে প্রতিটি দর্শনীয় স্থানে পোশাকধারী পাশাপাশি সাদাপোশাকের পুলিশ থাকবে।