এক রমজানে পাঁচ জুমা, জুমাতুল বিদা আনন্দের ও ভয়ের

এক রমজানে পাঁচ জুমা, জুমাতুল বিদা আনন্দের ও ভয়ের
এক রমজানে পাঁচ জুমা, জুমাতুল বিদা আনন্দের ও ভয়ের  © সংগৃহীত

আজ রমজানুল মোবারকের ২৯ তারিখ। পঞ্চম শুক্রবার। সাধারণত রমজান মাসে ৪টি জুমা হয়ে থাকে। এবছর পাঁচটি জুমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৪৪৪ হিজরির রমজানুল মোবারকের আজ শেষ জুমা। রমজানুল মোবারকের শেষ জুমা আমাদের কাছে জুমাতুল বিদা বা বিদায় জুমা নামে পরিচিত।

হজরত মুহাম্মদ (সা.) রমজানের শেষ শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিশেষ ইবাদত করতেন। তার উম্মতরা এরই ধারাবাহিকতায় এই দিনে বাদ জুমা নফল নামাজ আদায় করেন এবং বিশেষ মোনাজাত করেন।

প্রতি বছরের মতো এবারও জুমাতুল বিদা উপলক্ষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অতিরিক্ত মুসল্লিদের নামাজ আদায়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আজকের এই দিনটি একদিকে খুশির এবং কৃতজ্ঞতা আদায়ের দিন অন্যদিকে ভয় করার দিনও। আনন্দ ও খুশি এ কারণে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন দয়া করে আমাদেরকে রোজা, তারাবি, ইফতার, সেহরি, কোরআন তেলাওয়াত এবং সর্বশেষ জুমা পড়ার তৌফিক দান করছেন।

ভয় এই কারণে যে, হাদিস শরিফে এসেছে একবার হজরত নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুক্রবারে জুমার নামাজে খুতবা দেওয়ার জন্য মসজিদে তাশরিফ আনলেন। হজরত রাসুল (সা.) মসজিদে নববির মিম্বরে দাঁড়িয়ে খুতবা দিতেন। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মিম্বরটি ছিল তিনটি সিঁড়ি বিশিষ্ট। তিনি সর্বশেষ সিড়িতে দাঁড়িয়ে খুতবা দিতেন।

সেদিন সাহাবায়ে কেরাম এক বিস্ময়কর দৃশ্য অবলোকন করলেন নবী করিম (সা.) যখন প্রথম সিঁড়িতে পা রাখলেন বললেন আমিন। যখন দ্বিতীয় সিঁড়িতে পা রাখলেন বললেন আমিন। অতঃপর যখন তৃতীয় সিঁড়িতে পা রাখলেন তখনও বললেন আমিন। সাহাবায়ে কেরাম খুবই বিস্মিত হলেন।

সাহাবিগণ হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন– ইয়া রাসুলুল্লাহ আজ আপনি সিঁড়িতে পা রাখার সময় তিনবার আমিন বললেন? এর রহস্য কী? জোরে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি যখন মিম্বরে আরোহন করি তখন হজরত জিবরাইল আলাইহিস সালাম আমার কাছে আসলেন একটি দোয়া করলেন, তার ওপর আমি ‘আমিন’ বললাম। অবশ্যই আল্লাহপাক এই তিনটি দোয়া কবুল করেছেন।

কিন্তু এখানে ভয়ের বিষয় হলো এই, এই দোয়াটি মূলত ‘বদদোয়া’ ছিল। হজরত জিবরাইল (আ.) বদদোয়া করেছেন এবং আমাদের নবী তার পিঠে আমিন বলেছেন।

তিনটি বদদোয়া হচ্ছে এই, প্রথম সিঁড়িতে পা রাখার সময় হজরত জিবরাইল আলাইহি সালাম বললেন, যাদের ঘরে বৃদ্ধ মা বাবা আছে। তারা থাকা সত্ত্বেও গুনাহ মাফ করতে পারে নাই তারা ধ্বংস হোক। দুই– প্রিয় নবীজির নাম উচ্চারণ হওয়ার পরও যারা দুরুদ শরিফ পড়ে না, তারা ধ্বংস হোক। তিন নম্বর বদদোয়াটি করেছিলেন তৃতীয় সিঁড়িতে পা রাখার সময় যারা রমজানুল মোবারক পেয়েও গুনাহ মুক্ত হতে পারেনি তারাও ধ্বংস হোক। [ধর্ম ডেক্স]


সর্বশেষ সংবাদ