বিনা পারিশ্রমিকে ডা. কামরুলের ১৩শ কিডনি প্রতিস্থাপন

ডা. কামরুল
ডা. কামরুল  © সংগৃহীত

বিনা পারিশ্রমিকে সহস্রাধিক কিডনি প্রতিস্থাপন করে আলোচনায় আসা প্রখ্যাত কিডনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম এবার ১৩শ’ তম কিডনি প্রতিস্থাপনের মাইলফলক গড়েছেন। রাজধানীর শ্যামলীতে নিজের প্রতিষ্ঠিত সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি (সিকেডি) হাসপাতালে এক রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপনের মধ্য দিয়ে এ কীর্তি গড়েন তিনি।

বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুর ১টায় ১৩০০ তম কিডনি প্রতিস্থাপন করেন এই চিকিৎসক। সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি (সিকেডি) হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম নিজেই গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ডা. কামরুল পরিচিত তাঁর মহানুভবতার জন্য। কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য তিনি কোনো পারিশ্রমিকই নেন না। তাঁর প্রতিষ্ঠিত সেন্টার ফর কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি (সিকেডি) হাসপাতালে খরচও ন্যূনতম। রোগীদের ফলোআপে উৎসাহিত করতে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও রিপোর্ট দেখার ফি নেওয়া হয় না। এ ছাড়া খরচ কমাতে কিডনি সংরক্ষণের জন্য বিদেশ থেকে আমদানি করা এক ধরনের দামি তরলের বিকল্প তৈরি করেছেন তিনি।

এর আগে ২০২২ সালের ১৮ই অক্টোবর ডা. কামরুল ১২০০ তম রোগীর কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে আলোচনায় আসেন ২০২১ সালে বিনা পারিশ্রমিকে এক হাজার কিডনি প্রতিস্থাপনের পর। জানা গেছে, ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে সফলভাবে তিনি রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপন করে আসছেন। সাফল্যের হার শতকরা ৯৫ শতাংশ, যা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সমকক্ষ।

১৩শ কিডনি প্রতিস্থাপনের মাইলফলক ডা. কামরুলের

প্রসঙ্গত, অধ্যাপক কামরুল ইসলাম ঢাকা মেডিকেল কলেজের কে-৪০ ব্যাচের শিক্ষার্থী। ১৯৮২ সালে তখনকার ৮টি মেডিকেল কলেজের সম্মিলিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন তিনি। উচ্চশিক্ষাগ্রহণ করেন যুক্তরাজ্যের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস অব এডিনবার্গ থেকে। অধ্যাপক কামরুল ১৯৯৩ সালে স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগ দেন। 

আরও পড়ুন: হজ যাত্রীদের বিমান ভাড়া কমানোর সুপারিশ

অধ্যাপক কামরুল ১৯৯৩ সালে স্বাস্থ্য ক্যাডারে যোগ দেন। তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। প্রথমবার সফলভাবে কিডনি প্রতিস্থাপনের কাজ করেন ২০০৭ সালে। ২০১১ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে দরিদ্র রোগীদের কম মূল্যে কিডনি প্রতিস্থাপন ও চিকিৎসাসেবা দিতে ২০১৪ সালে সিকেডি গড়ে তোলেন তিনি। 

নানা সীমাবদ্ধতা ও জটিলতায় সরকারি পর্যায়ে কিডনি প্রতিস্থাপনের সংখ্যা যেখানে নগণ্য, সেখানে সিকেডিতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত চারটি কিডনি প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে।  দেশে প্রথম কিডনি প্রতিস্থাপন হয় ১৯৮২ সালে। এখন পর্যন্ত সাড়ে ৩ হাজারের মতো কিডনি প্রতিস্থাপন হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৩০০ কিডনিই প্রতিস্থাপন করেছেন ডা. কামরুল। চিকিৎসাবিদ্যায় অসামান্য অবদানের জন্য ২০২২ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন তিনি।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence