কবিকে শহীদ মিনারে নেয়ার অনুমোদন দেয়নি কর্তৃপক্ষ

কবি আল মাহমুদ
কবি আল মাহমুদ

প্রয়াত কবি আল মাহমুদের মরদেহ আজ সকাল ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তাঁর পরিবার। তবে এখনো তার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়নি শহীদ মিনার কর্তৃপক্ষ। আজ সকাল ১০ টা ২৫মিনিটে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস’কে এমনটাই জানিয়েছেন কবির সহকারী আবিদ আজম। এ সময় তিনি কবির প্রথম জানাযা বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে জানান।

তিনি বলেন, কবির মরদেহ শহীদ মিনারে নেওয়ার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। তবে এখনো অনুমোদন পাওয়া যায়নি। অনুমোদন পাওয়া গেলে আধাঘন্টার মধ্যে জানানো হবে। এর আগে ক‌বি প‌রিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের প্রত্যাশা- সং‌শ্লিষ্ট কতৃপক্ষ আল মাহমু‌দের ভক্তদের পছন্দকে গুরুত্বের স‌ঙ্গে বি‌বেচনা কর‌বেন। আধুনিক বাংলা ভাষা ও সা‌হি‌ত্যে অ‌বিস্মরণীয় অবদান ছাড়াও ভাষা সংগ্রামী এবং একজন স‌ক্রিয় মুক্তিযাদ্ধা হি‌সে‌বে আল মাহমুদ‌কে শেষ শ্রদ্ধাটুকু জানা‌বেন।

শুক্রবার রাত ১১টা ০৫ মিনিটে ধানমণ্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কবি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। তিনি নিউমোনিয়াসহ বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। এর আগে গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কবিকে ইবনে সিনা হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। ওই দিন প্রথমে সিসিইউতে ও পরে আইসিইউতে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার তাকে ‘লাইফ সাপোর্ট’ দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, কবি আল মাহমুদ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি। তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, প্রাবন্ধিক, ছোটগল্প লেখক, শিশুসাহিত্যিক এবং সাংবাদিক। বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়াংশে সক্রিয় থেকে তিনি আধুনিক বাংলা কবিতাকে নতুন আঙ্গিকে, চেতনায় ও বাক্‌ভঙ্গীতে বিশেষভাবে সমৃদ্ধ করেছেন।

তিনি ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সম্মুখ সমরে অংশ নিয়েছেন। তিনি সরকার বিরোধী দৈনিক গণকণ্ঠ (১৯৭২-১৯৭৪) পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। লোক লোকান্তর(১৯৬৩), কালের কলস (১৯৬৬), সোনালী কাবিন (১৯৬৬) ইত্যাদি মাহমুদের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ।


সর্বশেষ সংবাদ