সাংবাদিক শওকত মাহমুদের রিমান্ড শুনানি ১১ ডিসেম্বর

শওকত মাহমুদ
শওকত মাহমুদ  © সংগৃহীত

শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও জনতা পার্টি বাংলাদেশের মহাসচিব শওকত মাহমুদকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি আগামী বৃহস্পতিবার ১১ ডিসেম্বর তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানার আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে রবিবার সরকার ‘উৎখাতের ষড়যন্ত্রে’ জড়িত থাকার অভিযোগে যে মামলায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরী গ্রেফতার হয়েছেন, সেই মামলায় শওকত মাহমুদকেও গ্রেফতার  করা হয়। 

গ্রেফতাররের পর সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের রমনা জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর আখতার মোর্শেদ তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আজ দুপুরে ডিবি পুলিশ একটি মাইক্রোবাসে করে শওকত মাহমুদকে আদালতে নিয়ে আসে। তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। 

প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই জিন্নাত আলী জানান, মামলার মূলনথি না থাকায় রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়নি। এজন্য আগামী বৃহস্পতিবার রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হবে।

মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরী। তিনি ১৯৮৮ সালে আমেরিকায় যান ও ২০০৪ সালে আমেরিকান পাসপোর্ট পান। বর্তমানে বাংলাদেশের বৈধ অন্তবর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত করার জন্য অন্যদেশের গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে ৬ সেপ্টেম্বর তিনি নিউইয়র্ক থেকে বাংলাদেশে আসেন।

এই মামলায় বলা হয়েছে, ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মিন্টো রোড এলাকায় প্রাডো গাড়িতে করে ‘সন্দেহজনকভাবে’ ঘুরতে থাকেন। তাকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তার গাড়ি থামায়। কেন এখানে ঘোরাঘুরি করছেন, জানতে চাইলে তিনি পুলিশকে কোনও উত্তর দিতে পারেননি। এজন্য তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয় এবং তার কাছে থেকে দুটি আইফোন জব্দ করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় ‘সন্ত্রাস বিরোধী’ আইনে মামলা করা হয়। এরপর মামলায় জাতীয় পার্টির রওশনপন্থি অংশের মহাসচিব কাজী মো. মামুনূর রশীদসহ আরও কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়।


সর্বশেষ সংবাদ

X
APPLY
NOW!