বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার কৃষিতে প্রথম হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের দিপক দেবনাথ
- রিয়া মোদক, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৯ AM , আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪৯ PM

৪৪তম বিসিএসে শিক্ষা (কৃষি) ক্যাডারে প্রথম হয়েছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী দিপক দেবনাথ। এই অসাধারণ সাফল্যের পেছনের গল্প, সংগ্রাম আর প্রস্তুতির কথা জানালেন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায়। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসের হাবিপ্রবি প্রতিনিধি রিয়া মোদক—
আপনার ফ্যামিলিতে কে কে আছেন?
দিপক দেবনাথ: মা, বাবা ও আমি। অর্থাৎ আমি একমাত্র সন্তান। আমার কোনো ভাইবোন নেই।
বিসিএসের স্বপ্ন কীভাবে?
দিপক দেবনাথ: স্বপ্ন ঠিক না। তবে দেশের বেশিরভাগ পাব্লিক ভার্সিটির স্টুডেন্টের মত আমিও অনার্স লাইফের স্রোতে গা ভাসিয়ে ভেবেছিলাম বিসিএস ক্যাডার হতে হবে। পরবর্তীতে সিজিপিএ একটু ভালো হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার তীব্র বাসনা ছিল। অনেক সময়, শ্রম দিয়েও যখন যোগ্যতার বিচারে এতে অকৃতকার্য হলাম তখন বিসিএসের প্রতি শতভাগ ঝুঁকে গেছি।
পড়াশুনায় কোনো ধরনের সহায়তা প্রয়োজন হয়েছে কি?
দিপক দেবনাথ: ভার্সিটির ফার্স্ট ইয়ার থেকেই টিউশন করাতাম। আর অন্য সহায়তা হলে অবশ্যই শিক্ষক এবং সিনিয়রদের থেকে ক্যারিয়ারের সিদ্ধান্ত নেয়া থেকে আদার্স গাইডলাইন্স সব পেয়েছি।
বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি কীভাবে নিয়েছিলেন?
দিপক দেবনাথ: যেহেতু শুরুতে অন্যদিকে টার্গেট ছিল তাই বিসিএস প্রিলির জন্য খুবই কম সময় পেয়েছিলাম। তবে সিনিয়র ভাই আপু ও আমার অনেক ফ্রেন্ডের পরামর্শে কৌশলী হয়ে বিগত সালের প্রশ্ন অ্যানালাইসিস করে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে। একসেট বই বার বার পড়েছি, জব সল্যুশন শেষ করেছি এবং প্রচুর মডেল টেস্ট দিয়েছি। আর সাথে পত্রিকা (ইংরেজি এবং বাংলা) পড়া রিটেন ও ভাইভাতে হেল্প করেছে।
অনুপ্রেরণা ও যাদের অবদান ছিল?
দিপক দেবনাথ: অবশ্যই মা, বাবা। যাদের খুশি থাকতে দেখলে কাজ করার স্পৃহা কয়েকশো গুণ বেড়ে যায়, এরাই আমার অনুপ্রেরণা। কতিপয় শ্রদ্ধেয় শিক্ষক এবং বিশেষ কিছু মানুষ, যারা আমার জীবনে দেবদূতের মত। তাদের অবদান আমৃত্যু মনে রাখবো।
ফলাফল জানার পর অনুভূতি কেমন ছিল?
দিপক দেবনাথ: সীমাহীন এবং অবর্ণনীয়। গভীর রাতে বাসায় (বাবা মা) ফোন দিয়ে কেঁদে ফেলেছি। এই মুহূর্তটা জীবনের খাতায় বিশেষ কলমের কালিতে লিখা থাকবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য কিছু বলেন? অনেক এই গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট না করেই জবের প্রিপারেশন নেয়? এটাকে আপনি কীভাবে দেখেন? তারা কি এগিয়ে যারা গ্র্যাজুয়েট হওয়ার পর প্রিপারেশন নেয় তাদের থেকে?
দিপক দেবনাথ: গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট না করেই জব এর প্রিপারেশন নেয়ার প্রয়োজন কেনো আছে বা কেনো নেই, সেটা নিজের বেসিকের উপর ডিপেন্ড করবে। যারা ছোট বেলা থেকেই রেগুলার পড়াশোনা করেছে, গণিত এবং ইংরেজির বেইস যাদের ভালো আছে তাদের গ্রাজুয়েশনের আগে প্রস্তুতি নেয়ার কারণ নেই। তাছাড়া অনার্সে পড়ার চাপ থাকে অনেক। জব প্রিপারেশন কন্টিনিউ করা টাফ, এতে মাথায় এক্সট্রা প্রেশার পড়বে। তবে কেউ যদি অনার্স থেকে রেগুলার পত্রিকা ( বাংলা এবং ইংরেজির অন্তত একটা কলাম) পড়ে তাহলে তারা অন্যদের চেয়ে প্রিলি রিটেন ভাইভার অনেক আগায় থাকবে। পাশাপাশি ইংরেজি বা গণিতের টিউশন করাতে পারলে তো পোয়াবারো।