স্মার্ট পদ্ধতিতে নৌকার নিরঙ্কুশ বিজয়ে ভূমিকা রাখবে ছাত্রলীগ

শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ও ছাত্রলীগের লোগো
শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ও ছাত্রলীগের লোগো  © টিডিসি ছবি

সম্প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির ঘোষণা করা হয়। কমিটির নতুন দিক, পদ বঞ্চিতদের সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ, বিভাগভিত্তিক দায়িত্ব বণ্টন, জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সঙ্গে কথা বলেছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ঢাবি প্রতিনিধি রিফাত হক—

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হলো, নতুন কমিটির চমক দিকগুলো কী কী? 
দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: বাংলাদেশ সৃষ্টির শুরু থেকে আজ অব্দি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দেশের স্বাধিকার স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে শুরু করে ভোট-ভাতের অধিকারসহ শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে অতন্দ্র প্রহরী হয়ে সবসময় বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের পাশে ছিল। জাতির পিতার আদর্শে অবিচল থেকে আপামর জনতার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। যোগ্যদের ও মেধাবীদের সর্বোচ্চভাবে এই সংগঠনে বরাবরই হয়ে থাকে। এবারও আমরা অনুরূপভাবে যোগ্যতম, মেধাবী ও পরিশ্রমী শিক্ষার্থীদের, যারা মুজিব আদর্শের প্রতি অবিচল আস্থা রেখেছে। যারা মুজিব আদর্শের প্রশ্নে দেশরত্ন শেখ হাসিনার চলার পথকে মসৃণ রাখে এবং অটুট-নিরলস ভূমিকা রেখে যেতে পারবে। তাদেরকে আমরা পদায়ন করেছি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: কেন্দ্রীয় কমিটিতে যারা পোস্ট পাননি। তাদের জন্য আপনার পরামর্শ কী থাকবে? অথবা তাদের সক্রিয় করতে আপনি কী উদ্যোগ নিবেন?
শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান: বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এত বড় একটি সংগঠন। প্রায় অর্ধ কোটি সদস্যের এই পরিবার। এত বড় পরিবারে ৩০১ জনের সমন্বয়ে আমাদের কমিটি হলো। এখানে অনেককেই কাঙ্ক্ষিত পদ দেওয়া যায়নি বা পদায়ন করা সম্ভব হয়নি। যদিও তারা সবাই যোগ্যতম ছিল। কিন্তু এর পরেও তাদেরকে আমি বলতে চাই, মন খারাপ না করে তারা যেহেতু আদর্শিক চেতনা থেকে বা সর্ব কল্যাণকর চিন্তাভাবনা থেকে সংগঠনের সাথে যুক্ত। সেহেতু সংগঠনের পাশে থেকে এদের ভবিষ্যৎ জীবনকে সহায়তা করা। পাশাপাশি সংগঠনের ভালো-মন্দ দিকগুলো নিয়ে আমাদের সাথে আলোচনার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতাদের  বিভাগভিত্তিক দায়িত্ব বণ্টন কবে করবেন?
শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান: বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সবার দায়িত্ব হচ্ছে সাংগঠনিক গতিশীলতা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে কেন্দ্রীয় সংসদকে সক্রিয় রাখা। এরপরই বাড়তি দায়িত্ব আমরা বিভিন্ন বিভাগকেন্দ্রিক বণ্টন করে থাকি। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। অতিদ্রুত এই দায়িত্বগুলো নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিব।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: যেসব জেলা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটিগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ। সেগুলোর ব্যাপারে কী ভাবছেন?
শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান: আমরা এই মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোর সাংগঠনিক গতিশীলতা ও স্থিতিশীলতা বিবেচনা সাপেক্ষে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আশু সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আসন্ন নির্বাচন নিয়ে ছাত্রলীগের পরিকল্পনা কী?
শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান: আগামী নির্বাচন আমাদের জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বাঙালি জাতি ইতোমধ্যে স্বাধীনতার ৫২ বছর অতিক্রম করেছে। এই অর্ধ শতাব্দীতে বাংলাদেশের যত অর্জন রয়েছে। তার সবকিছুই বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাত ধরে। বঙ্গবন্ধুর প্রিয় দল বাংলাদেশের গণমানুষের দল। সেই ধারাবাহিকতা যেন বজায় থাকে। এ দেশের তরুণরা যেন সৃষ্টি সুখের উল্লাসে মাতোয়ারা হয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামনের পথে এগিয়ে যেতে পারে। সেই লক্ষ্যে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। শেখ হাসিনা যখন দিনবদলের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। সেই স্বপ্নে প্রথম বিভোর হয়েছিল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। দেশরত্ন শেখ হাসিনা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন। তখন ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগই ডিজিটাইজ পদ্ধতিতে সর্বপ্রথম অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ছিলেন। দেশরত্ন শেখ হাসিনা এবার আমাদেরকে স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে স্মার্ট তরুণ প্রজন্মকে সাথে নিয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ স্মার্ট পদ্ধতিতে অনুসরণ করে আগামী নির্বাচনে স্মার্ট দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্মার্ট নেত্রী সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার প্রতীক নৌকা মার্কার নিরঙ্কুশ বিজয়ে ভূমিকা পালন করবে।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনাকে ধন্যবাদ। 
শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান: দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকেও ধন্যবাদ।


সর্বশেষ সংবাদ