মাস্টাররোলে নিয়োগ হয় বোর্ড কর্মকর্তাদের সুবিধার্থে

মো. আলী আকবর খান ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের লোগো
মো. আলী আকবর খান ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের লোগো  © ফাইল ফটো

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে মাস্টাররোলে নিয়োগ নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের নিয়ম না মানা, অবৈধভাবে কোয়ার্টারে থাকতে দেওয়া, তিন মাসের বেশি চাকরি করাসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে সরকারের এই দপ্তরের বিরুদ্ধে। এসব অভিযোগসহ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নানা বিষয় নিয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সাথে কথা বলেছেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান  মো. আলী আকবর খান। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের সিনিয়র রিপোর্টার শিহাব উদ্দিন

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে মাস্টাররোলে নিয়োগ নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে। বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরিচিতদের নিয়োগ দেওয়া, কোয়ার্টারে থাকতে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে আপনার অভিমত কী?
মো. আলী আকবর খান: মাস্টাররোলে ড্রাইভার থেকে শুরু করে নানা পদে নিয়োগ দেওয়া হয় যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। এখানে বোর্ড কর্মকর্তাদের পরিচিতদের নিয়োগের যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটি ভিত্তিহীন। একজন ড্রাইভারকে কোয়ার্টারে থাকতে দেওয়ার নানা কারণ রয়েছে। অনেক সময় আমাদের খুব ভোরে কোনো মিটিংয়ে যেতে হয়। ওই সময় ড্রাইভার কোয়ার্টার থেকে খুব অল্প সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নিয়ে যেতে পারেন। সেজন্য তাদের কোয়ার্টারে থাকা দরকার। বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নানা সুবিধার্থেই মাস্টাররোলে এসব নিয়োগ দেওয়া হয়।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: সারা দেশের সকল কারিগরি প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি মাত্র শিক্ষা বোর্ড। বিপুল সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না?
মো. আলী আকবর খান: কাজ করতে গিয়ে কিছু সময় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে আমরা নিজ নিজ জায়গা থেকে সেটি ম্যানেজ করে নেই। আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি হলেও শিক্ষার্থী সংখ্যা খুবই কম। সেজন্য আমাদের কাজ করতে তেমন একটা বেগ পেতে হয় না। 

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, এবার কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এক লাখ ২৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। অথচ এক ঢাকা বোর্ড থেকেই প্রায় সাড়ে তিন লাখ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। কাজেই আমাদের কাজের চাপ তেমন বেশি না।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: পরীক্ষা না দিয়েও পাস করানো হয়—এমন একটি অভিযোগ কারিগরি বোর্ডের বিরুদ্ধে রয়েছে। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে যে কাউকে ভর্তি এবং পাস করানোর অভিযোগের সত্যতা কতটুকু?
মো. আলী আকবর খান: অভিযোগ অনেকেই করতে পারে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। সব অভিযোগ কি সত্য হয়? যারা অভিযোগ করেছেন তাদের ডাকলে খুঁজে পাওয়া যায় না। তাহলে আমরা অভিযোগের তদন্ত করবো কীভাবে। আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কার্যক্রম অনেক গতিশীল হয়েছে। দুর্নীতির প্রশ্নে আমি কোনো আপস করি না।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: শুনেছি কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কোনো কর্মকর্তার থাকার জন্য কোয়ার্টার নেই। এ বিষয়ে সরকারের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন কী?
মো. আলী আকবর খান: আপনি যা শুনেছেন তা ঠিকই শুনেছেন। আমাদের বোর্ডের কর্মচারীদের থাকার জন্য কোয়ার্টার রয়েছে। তবে কর্মকর্তাদের জন্য কোনো কোয়ার্টার নেই। থাকার জন্য আমাদের কোয়ার্টার বরাদ্দ দেওয়া হলে খুব ভালো হত। কেননা সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের যে বাসা ভাড়া দেওয়া হয় তা বর্তমান বাজার অনুযায়ী কম।

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস: আপনাকে ধন্যবাদ।
প্রফেসর তপন কুমার সরকার: আপনাকেও ধন্যবাদ।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence