লিচু উৎপাদনে কাইটোসান সলিউশন ব্যবহারে হাবিপ্রবির গবেষণায় সফলতা

  © টিডিসি ফটো

দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন ও ফুড প্রসেসিং এন্ড প্রিজারভেশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মারুফ আহমেদের তত্ত্বাবধানে লিচু উৎপাদনে বিষাক্ত কীটনাশকের বদলে কাইটোসান সলিউশন ব্যবহারে সফলতা পেয়েছে একদল গবেষক।

জানা যায়, লিচু উৎপাদনের জন্য প্রথমবারের মতো ৮টি গাছে পরীক্ষামূলকভাবে এই কাইটোসেন সলিউশন ব্যবহার করে হাবিপ্রবির ওই গবেষক দল। এতে কোনো রকম সার-কীটনাশক কিংবা গ্রোথ হরমোন ছাড়াই শুধু কাইটোসান ব্যবহারে ফলন যেমন বেড়েছে, আকারও হয়েছে বড়, স্বাদে এসেছে বাড়তি মিষ্টতা। এর আগে আম-আনারসের ওপর এই পরীক্ষা চালানো হয়। সেখানেও সফলতা পায় গবেষকরা। এবার লিচু উৎপাদনেও বিষাক্ত কীটনাশকের বদলে কাইটোসান সলিউশন ব্যবহার সেই সফলতা এসেছে।

গবেষক দলের তত্ত্বাবধায়ক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডীন ও ফুড প্রসেসিং এন্ড প্রিজারভেশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মারুফ আহমেদ জানান, প্রাকৃতিক বিভিন্ন উপাদান হতে এই সলুউশন তৈরি করা হয়। এটি এক ধরনের পলিস্যাকারাইড। প্রাথমিকভাবে কয়েকটি লিচু গাছে এই সলুউশন ব্যবহার করে আমরা সফলতা পেয়েছি।

হাবিপ্রবির এই গবেষক জানান, কাইটোসেন প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি হওয়ায় এতে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক কোন উপাদান নেই। এটি পরিবেশ বান্ধব, ফলের গুণগত মান অক্ষুণ্ণ রাখে এবং বাজারে ব্যবহৃত কীটনাশকের চেয়ে দামেও কম। এছাড়া এটি ব্যবহারে পোকামাকড় এবং রোগ-বালাই এর আক্রমণ একেবারেই নেই বললেই চলে।

এ বিষয়ে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ড. মুবারক আহমদ খান জানান, কাইটোসান ব্যবহারে অভাবনীয়ভাবে উৎপাদন খরচ কমেছে। ইতোমধ্যে আমরা তার মেধাসত্ত্ব পেয়েছি। এখন কেউ বাণিজ্যিক উৎপাদনে এগিয়ে আসলে, সব রকম সহায়তা করা হবে। প্রাণিজ উপাদানে তৈরি হওয়ায় এই তরল মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর নয়।


সর্বশেষ সংবাদ