দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচিতে সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা
- ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:১৬ PM , আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:১৭ PM
রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনির্ভাসিটির অধ্যাদেশ জারির এক দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই শিক্ষা ভবনের সামনের সড়কে এ কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, গতকাল রাত থেকে খোলা আকাশের নিচে সড়কে রাতে অবস্থান করায় তীব্র শীতে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী। কয়েকজনকে শারীরিক অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা।
অবস্থান কর্মসূচি পালন করা ঢাকা কলেজের ২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী সানি বলেন, আমরা গতকাল থেকে শিক্ষা ভবনের সামনে আমাদের কর্মসূচি পালন করছি। রাতভর আমাদের সহপাঠীরা এখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি আশ্বস্ত করলেও আমরা এই কর্মসূচির চালিয়ে যাচ্ছি। এর আগেও বহুবার আশ্বস্ত করলেও সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ দেয়নি সরকার। যতক্ষণ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের অশ্চিয়তা দূর হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাব।
উল্লেখ্য, গত ১৮ নভেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি সাত কলেজকে নিয়ে 'ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়' নামে একটি স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার’ এমন তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি, রেজিস্ট্রেশন, ক্লাস পরিচালনা ইত্যাদি বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে অন্তর্বর্তী প্রশাসন, সাত কলেজের অধ্যক্ষ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউজিসির প্রতিনিধিদের নিয়ে গত ১১ নভেম্বর এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আলোকে ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শেষ করে ক্লাস শুরুর তারিখ ২৩ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে নবীনদের ক্লাস কার্যক্রম প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলনে নামে সাত কলেজ বিসিএস জেনারেল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশনের শিক্ষকবৃন্দ। ফলশ্রুতিতে নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও আনুষঙ্গিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে যায়। পরবর্তীতে প্রস্তাবিত সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির পক্ষে বিপক্ষে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।