অস্ত্রোপচার ছাড়াই স্তন ক্যান্সার চিকিৎসা: ঝুঁকি কতটা?
- বিএমজে নিউজ
- প্রকাশ: ০৪ আগস্ট ২০২৫, ০১:৩২ PM , আপডেট: ০৬ আগস্ট ২০২৫, ০৬:৩৩ PM
যুক্তরাষ্ট্রে করা একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, স্তনে ডিসিআইএস (এক ধরনের অ-আক্রমণাত্মক স্তন ক্যান্সার যা স্তনের নালীতে সীমাবদ্ধ থাকে) ধরা পড়ার পর অস্ত্রোপচার না করিয়ে চিকিৎসা নিলে অনেক নারী সুস্থ থাকেন। তবে তাঁদের ভবিষ্যতে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার একটি নির্দিষ্ট ঝুঁকি থেকেই যায়। এ চিকিৎসায় রেডিয়েশন, কেমোথেরাপি, হরমোন বা টার্গেটেড থেরাপি ব্যবহার করা যায়। তবে এগুলোর ঝুঁকি নির্ভর করে ক্যান্সারের স্তর, রোগীর স্বাস্থ্য ও অন্যান্য বিষয়ের উপর। (খবর বিএমজে নিউজ)
গবেষণাটি ১ হাজার ৭৮০ জন নারীর উপর পরিচালিত হয়, যাঁদের গড় বয়স ছিল ৬৩ বছর। অংশগ্রহণকারীদের কেউই ডিসিআইএস নির্ণয়ের পর প্রথম ৬ মাসে অস্ত্রোপচার করাননি। তাঁদের চিকিৎসা হয়েছিল পর্যবেক্ষণ, রেডিয়েশন, হরমোন থেরাপি বা অন্যান্য উপায়ে। প্রায় ৪ বছর ৫ মাস ধরে তাঁদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়।
আরও পড়ুন: স্ক্রিনশট পলিটিক্স শুরু হলে এনসিপি-বাগছাসের অনেকেরই রাজনীতি নাই হয়ে যেতে পারে
গবেষণায় দেখা যায়, ৮ বছরের মধ্যে ১০.৭% নারীর একই স্তনে ক্যান্সার ফিরে আসে এবং ১.৬% নারী স্তন ক্যান্সারে মারা যান। কম ঝুঁকির নারীদের মধ্যে—যাঁদের বয়স ৪০ বছরের বেশি, রোগের মাত্রা হালকা এবং হরমোন রিসেপ্টর পজিটিভ—ক্যান্সার পুনরায় হওয়ার সম্ভাবনা ছিল ৮.৫%। এই গোষ্ঠীর ৮ বছরে বেঁচে থাকার হার ছিল ৯৮.১%।
অন্যদিকে, উচ্চ ঝুঁকির নারীদের ক্ষেত্রে (যেমন বয়স কম, টিউমার জটিল ধরনের), ক্যান্সার ফিরে আসার হার ছিল ১৩.৯%। এই গোষ্ঠীর বেঁচে থাকার হার তুলনামূলকভাবে কিছুটা কম।
গবেষণার প্রধান গবেষকেরা বলেন, ‘সবার জন্য এক ধরনের চিকিৎসা উপযুক্ত নয়। ডিসিআইএস শনাক্ত হওয়ার পর কেউ কেউ অস্ত্রোপচার ছাড়াও ভালো থাকতে পারেন। তবে চিকিৎসা শুরু করার আগে রোগীর ঝুঁকি মূল্যায়ন করা অত্যন্ত জরুরি।’
তারা আরও বলেন, ‘চিকিৎসকের সঙ্গে রোগীর খোলামেলা আলোচনা এবং যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণই হচ্ছে নিরাপদ ও কার্যকর চিকিৎসা বেছে নেওয়ার মূল চাবিকাঠি।’