শীত এলেই সাইনাসের সমস্যা বাড়ে, করণীয় কী?
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:১৪ PM , আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২৫ AM
শীতকাল এলে অনেকেই সর্দি-কাশি, জ্বরের সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু যাদের সাইনোসাইটিস রয়েছে, তাদের জন্য শীতকাল হয়ে ওঠে আরও কষ্টদায়ক। রাতে ঘুমাতে গেলেই নাক বন্ধ, শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট। সঙ্গে মাথা ব্যথা, হাঁচি-কাশি তো রয়েছেই।
ঠান্ডায় সাইনাস বাড়ার কারণ
ঠান্ডা, ধুলা-বালি ও শুষ্ক আবহাওয়ায় শ্বাসনালির ভিতরে প্রদাহ বেড়ে যায়। আবার ভাইরাস সংক্রমণেও সাইনাসের সমস্যা বেড়ে যায়। সাধারণত নাকে, কপালে, নাকের ঠিক দু’পাশে অনেকগুলি গহ্বর থাকে। এই গহ্বরগুলোকে সাইনাস বলা হয়। এই গহ্বরগুলোতেও মিউকাস জমে থাকে। যদি কোনও কারণে এই গহ্বরগুলিতে মিউকাসের পরিমাণ বাড়ে বা তরল জমা হতে থাকে, তখন প্রদাহ শুরু হয়। জমা তরলে ভাইরাস বা ব্যাক্টেরিয়ার বংশবৃদ্ধিও হয়, ফলে অ্যালার্জির সংক্রমণ ঘটে। তখন ঘন ঘন নাক বন্ধ, গলাব্যথা, মাথাব্যথা, এমনকি শ্বাসকষ্ট হতে দেখা যায়।
সমস্যা দূরীকরণে করণীয়
গরম পানির ভাপ নিলে বেশ আরাম পাওয়া যায়। দিনে ২–৩ বার এই ভাপ নিলে সাইনাসের জমে থাকা সর্দি নরম হয়। চাইলে পানিতে ইউক্যালিপটাস বা পুদিনা তেল ২–৩ ফোঁটা দিয়েও ভাপ নেওয়া যেতে পারে। রোজই ঘুম থেকে উঠে ও রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই ভাপ নিয়ে ঘুমালে রাতে ঘুম ভালো হবে।
সেই সাথে তুলসীপাতার চা, আদা-দারচিনি-লবঙ্গ চা বানিয়ে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়। আবার গরম সুপ্, হারবাল চা, মধু-মিশ্রিত গরম পানি নাকের আটকে থাকা জমাটভাব দূর করতে সাহায্য করে। তেল মশলা দেওয়া খাবার যতটা সম্ভব কম খেতে হবে।
সাইনাস বাড়লে ঘন ঘন জ্বর আসতে পারে, চোখে ব্যথা হবে, মাথায় যন্ত্রণা হতে পারে। তাই এই সময়ে ঠান্ডা লাগানো যাবে না। তাই ঠান্ডা হাওয়ার স্পর্শ এড়িয়ে চলতে হবে। সম্ভব হলে বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক পরে বের হওয়া উত্তম এবং কান-গলা যতটা সম্ভব ঢেকে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন : এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হচ্ছে ওসমান হাদিকে
পানি ফুটিয়ে ঠান্ডা করে তাতে অল্প একটু লবণ মিশিয়ে (স্যালাইন ওয়াটার) নিতে হবে। এটি দুই নাকেই এই পানি টানলে ও ছাড়লে, সাইনাসের পথ পরিষ্কার হবে। অতিরিক্ত মিউকাস বেরিয়ে যাবে। এটি নাকের ভেতরের শুষ্কতা ও ব্লকেজ কমায়।
নাক ও কপালের ওপর গরম সেঁক দিলে চাপ কমে ও আরাম পাওয়া যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নেজাল ড্রপ ব্যবহার করা উচিত না। তাই সমস্যা বাড়লে ঘরে না থেকে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
সূত্র:আনন্দবাজার