গত ২০ দিনের পরিসংখ্যান

করোনায় ১৮ অধ্যাপকের মৃত্যু, বিশ্ববিদ্যালয়ে আতঙ্কের ছায়া

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ জন অধ্যাপক মারা গেছেন
আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ জন অধ্যাপক মারা গেছেন  © সংগৃহীত

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ভারতের আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ জন অধ্যাপক। প্রত্যেককে ভর্তি করা হয়েছিল হাসপাতালে। সেখানে মৃ্ত্যু হয়েছে তাঁদের। এই পরিসংখ্যান গত ২০ দিনের। 

আর এই পরিসংখ্যানে সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বাকিদের মধ্যেও।

মেডিসিন বিভাগের ৫৮ বছর বয়সী অধ্যাপক সাদাব খান, আইন বিভাগের ৫৯ বছর বয়সী ডিন আহমেদ সামদানি, সংস্কৃত গবেষক (৬০) খালিদ বিন ইউসূফ। ক্রমেই বাড়ছিল সংখ্যাটা। একলাফে এখন মৃতের সংখ্যা ২০ ছুঁইছুঁই।

কিন্তু এই একসঙ্গে বিপুল সংখ্যক অধ্যাপকের মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে বাকিদের মধ্যেও।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ জ্ঞাপন বিভাগের অধ্যাপক তথা মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় অত্যন্ত সঙ্কটের মধ্যে রয়েছে। গত কয়েকদিনে আমরা আমাদের একাধিক বর্ষীয়ান অধ্যাপককে হারিয়েছি। ২০ দিনের মধ্যে ১৮ জন অধ্যাপকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্দরে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে জহরলাল নেহেরু মেডিকেল কলেজে ১০০ জন রোগী চিকিৎসাধীন।

রবিবার (৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তারিক মানসুর আইসিএমআরকে চিঠি লিখেছেন। সেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, আইসিএমআরের পক্ষ থেকে নমুনা পরীক্ষা করা হোক। স্ট্রেন কতটা মারাত্মক এবং তা কতটা ক্ষতি করতে পারে তা জানানো হোক।

চিঠিতে তিনি আরও লিখেছেন, আমাদের আশঙ্কা সম্ভবত কোনও নির্দিষ্ট স্ট্রেনেই আক্রান্ত হয়েছেন প্রত্যেকে। এই শঙ্কা আদৌ সত্যি কি না তা দেখুক বিশেষজ্ঞরা। আমাদের মনে হচ্ছে আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় বা তার আশেপাশের অঞ্চলে এই স্ট্রেন ছড়িয়ে আছে। কীভাবে সংক্রমণ রোধ করা যায় তার জন্য পরামর্শ দিক বিশেষজ্ঞরা।

আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, জহরলাল নেহেরু মেডিকেল কলেজে যে অধ্যাপকদের ভর্তি করা হয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেকেই অবসরপ্রাপ্ত। একইসঙ্গে মৃত্যু হয়েছে একাধিক কর্মরত অধ্যাপক। জানা গেছে, সব মিলিয়ে এই সংখ্যাটা প্রায় ৪০-এর কাছাকাছি।

সূত্র: এবিপি আনন্দ


সর্বশেষ সংবাদ