জুনের শেষে বাংলাদেশে লাখ ছাড়াবে করোনা রোগীর সংখ্যা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২০, ১২:৫৯ PM , আপডেট: ০৩ জুন ২০২০, ০১:২০ PM
বাংলাদেশে প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। ফলে চাপে রয়েছে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। এরই মধ্যে গবেষকরা সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, জুনের শেষে করোনা রোগীর সংখ্যা লাখ ছাড়াতে পারে। ইতোমধ্যে মঙ্গলবার (২ জুন) শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে।
এই সংখ্যা জুনের মাঝামাঝি ৮৭ হাজার এবং শেষের দিকে এক লাখ ২৩ হাজারে পৌঁছতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা এ দাবি করেছেন। দলের প্রধান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক শফিউন শিমুল বলেন, অনুমানটি করা হয়েছে কোভিড-রোগী বাড়ার হারের ভিত্তিতে।
তিনি বলেন, ‘সবকিছু পুনরায় চালুর সঙ্গে ভাইরাসের বিস্তার দ্রুত বাড়তে পারে। ব্রাজিল বা রাশিয়ার মতো ভাইরাসের পরবর্তী উপকেন্দ্র হতে পারে বাংলাদেশ।’ তিনি জানান, দলটি নিয়মিত জাতীয় মহামারি মডেল ভিত্তিক অনুমান করে প্রতিবেদন সরকারের নিকট জমা দেয়।
অনেক বিশেষজ্ঞ বলেছেন, পর্যাপ্ত পরীক্ষা না করার কারণে অনেক রোগী শনাক্ত করা যায়নি। ফলে সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। দেশের প্রতি ১০ হাজার মানুষের মধ্যে মাত্র দু’জন করোনা পরীক্ষা করতে পেরেছেন, যা আক্রান্ত দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন হারের একটি। অফিস, পরিবহন এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম চালু করা আরও খারাপ করে তুলবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
মঙ্গলবার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৪ ঘণ্টায় নতুন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৯৯১ জন। মোট শনাক্তের সংখ্যা ৫২ হাজার ৪৪৫ জন। নতুন করে ৩৭ জন মারা গেছেন, মোট মৃতের সংখ্যা ৭০৯ জন। ৫২টি ল্যাবে এসময় ১২ হাজার ৭০৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখন নেদারল্যান্ডসকে ছাড়িয়ে বাংলাদেশ শনাক্ত রোগীর দিকে দিয়ে ২১তম স্থানে রয়েছে।
এর মধ্যে অর্ধেকের বেশি শনাক্ত হয়েছে সর্বশেষ দু’সপ্তাহে। বিশেষজ্ঞরা এজন্য জন সাধারণের চলাচল বৃদ্ধিকে দায়ী করছেন। গত ২৮ মে ছুটি আর বর্ধিত করা হবে না বলে জানায় সরকার। একই দিন কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটি সতর্ক করে দিয়ে বলে, স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা ব্যবস্থা কঠোরভাবে প্রয়োগ না হলে সংক্রমণ ব্যাপক হারে বাড়বে।
কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ কমার আগ পর্যন্ত শাটডাউন না তোলার পরামর্শ দিয়েছিলাম আমরা। কিন্তু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিঘ্ন ঘটছে বলে সবকিছু খুলে দিচ্ছে।’