রাতের পর রাত জেগে কী বড় বিপদ ডেকে আনছেন?
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৪ PM , আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৩৪ PM
মানুষের সুস্থতার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম। এর জন্য সবচেয়ে উপযোগী সময় হলো রাত। কোন কাজ নেই, অথচ রাতে বিছানায় শুয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ফোন চাপাচাপি কিংবা ভিডিও দেখা অথবা রাত জেগে কাজ করা। ফলে রাতের সময়টুকু বিশ্রামের পরিবর্তে জেগে কেটে যায়। রাতের পর রাত জাগলে এবং পাশাপাশি ভাজাভুজি খাওয়ায় আসক্তি থাকলে ওজন যেমন বাড়বে, তেমনই হানা দেবে ডায়াবিটিসের মতো অসুখও।
সারাদিন কাজের পর ক্লান্ত হয়ে ফিরেও রাতে ঘুম নেই। বিছানায় শুয়ে হয় হাতে মোবাইল বা ট্যাব নিয়ে স্ক্রল করা চলছে, নয়তো টিভি বা ল্যাপটপে জমিয়ে ওয়েব সিরিজ় দেখা হচ্ছে রাতের পর রাত। তার উপর হাজারো দুশ্চিন্তা তো রয়েছেই। কর্মক্ষেত্রের কাজের চাপ ও সংসারের দায়দায়িত্ব একসঙ্গে সামলাতে গিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও কিছু কম হচ্ছে না। সব মিলিয়ে রাতের ঘুমের দফারফা। আর সকাল থেকেই শরীর জুড়ে ক্লান্তি, মাথাব্যথা, আর কত কী সমস্যা! এখানেই শেষ নয়।
রাত জাগলে আবার খিদেও কেমন যেন চাগাড় দিয়ে ওঠে। রাত জেগে অফিসের কাজ বা টিভি দেখতে দেখতে টুকটাক মুখ চালানোর অভ্যাসও আছে অনেকের। সেটি চকোলেট হতে পারে বা আইসক্রিম, কিংবা কেক-পেস্ট্রি, অথবা মুচমুচে কোনও স্ন্যাকস। রাতের পর রাত জাগলে, এবং পাশাপাশি ভাজাভুজি খাওয়ায় আসক্তি থাকলে ওজন যেমন বাড়বে, তেমনই হানা দেবে ডায়াবিটিসের মতো অসুখও।
আরও পড়ুন: ওজন নিয়ন্ত্রণে সকালের নাস্তায় রাখবেন যেসব খাবার
স্পেনের ‘ইউরোপিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অফ দ্য স্টাডি ফর ডায়াবিটিস’-এর সমীক্ষা বলছে, যাঁরা বেশি রাত জাগেন, তাঁদের টাইপ-২ ডায়াবিটিস হওয়ার আশঙ্কা বহু গুণে বেড়ে যায়। মাঝেমধ্যে এক-দু’ রাত জাগা তেমন খারাপ নয়। তেমন কোনও ক্ষতি হয় না তাতে। পরে ঘুমিয়ে তা কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। তা সম্ভব না হলে একটু–আধটু ঘুম ঘুম ভাব থাকে, ক্লান্ত লাগে, খিদে কম পায়, ব্যস এই পর্যন্তই।
কিন্তু রাতের পর রাত জাগতে হলে ব্যাপারটা আর অত সহজ থাকে না। নানা দিক থেকে বিপদ এসে হাজির হয়।
সূত্র: আনন্দবাজার