নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে গুরুত্ব পাচ্ছেন না ক্ষুদ্র খামারিরা: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:১৭ AM
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, দেশের প্রাণিজ প্রোটিনের একটি বড় অংশ আসে মাছ, ডিম ও অন্যান্য প্রাণিজাত পণ্য থেকে, যা মূলত উৎপাদন করছেন ক্ষুদ্র খামারিরা; এদের অধিকাংশই নারী। কিন্তু এত বড় অবদান রাখার পরও তারা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে যথাযথ গুরুত্ব পাচ্ছেন না।
শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘সপ্তম সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সম্মেলন ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করে সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট (CSD) এবং ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)।
ফরিদা আখতার বলেন, বাংলাদেশের রয়েছে এক লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সামুদ্রিক জলসীমা, যা জলজ জীববৈচিত্র্যে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। কিন্তু এই সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ এখনো সঠিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, “অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সড়ক নির্মাণে পর্যাপ্ত কালভার্ট না থাকায় জলপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এতে মাছের বিচরণ ও প্রাকৃতিক উৎপাদন ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”
তিনি জানান, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণে সরকার বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে এবং ‘মেরিন প্রটেকটেড এরিয়া’ ঘোষণা করে মাছ সংরক্ষণের উদ্যোগও চলছে। তবে এসব কার্যক্রম আরও সমন্বিত ও সুসংগঠিতভাবে বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।
দূষণ প্রসঙ্গে ফরিদা আখতার বলেন, ‘বাংলাদেশে প্লাস্টিক ও শিল্পবর্জ্য দূষণ ক্রমেই বাড়ছে, যা মাছের জীবন ও আমাদের খাদ্যনিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলছে।”
সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউল্যাবের উপাচার্য অধ্যাপক ইমরান রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেটো রেঙ্গলি, আর অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইউল্যাব বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সাইদা মাদিহা মুরশেদ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শারমিন্দ নীলোর্মি।