হাসিনার আমলে ইসরাইলি স্পাইওয়্যারসহ নজরদারি সরঞ্জাম কেনার অভিযোগ তদন্তে কমিটি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৫, ১১:৪৭ PM , আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২৫, ১১:০১ AM
চব্বিশের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে নাগরিকের গোপনীয়তার অধিকার লঙ্ঘনের উদ্দেশ্যে ইসরায়েল থেকে স্পাইওয়্যারসহ বিভিন্ন নজরদারি সরঞ্জাম কেনার অভিযোগের তদন্তে একটি কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকের পর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের বিষয়বস্তু তুলে ধরেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি জানান, নজরদারির সরঞ্জাম কেনার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও আইসিটিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবকে। কমিটি খতিয়ে দেখবে—কীভাবে, কোথা থেকে ও কত দাম দিয়ে এসব যন্ত্র কেনা হয়েছে এবং কীভাবে এর ব্যবহার করা হয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, সার্ভেইলেন্সের যন্ত্রপাতি বিগত সরকারের সময় কেউ বলছেন প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলারে কেনা হয়েছে, কেউ বলছেন ২০০ মিলিয়ন ডলারে কেনা হয়েছে। পুরো রিপোর্টে আমরা যা পড়েছি, সেখানে স্পষ্ট যে বিগত স্বৈরাচারী সরকার বাংলাদেশের মানুষের নাগরিক অধিকার হরণের জন্য নজরদারির যন্ত্রপাতি, স্পাইওয়্যার ব্যবহার করেছে। এই অবৈধ নজরদারির জন্য আমার-আপনার ন্যূনতম বাক্স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। সংবিধানে যে গোপনীয়তার অধিকার দেওয়া হয়েছে, সেটাকে তারা খর্ব করেছে।
তিনি আরও বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় কমিটি করে দেওয়া হয়েছে এটি তদন্ত করার জন্য। কত টাকা দিয়ে এগুলো কেনা হয়েছে, কোথা থেকে কেনা হয়েছে—তা খতিয়ে দেখা হবে। যদিও রিপোর্টে বলা হয়েছে, অনেক কিছু ইসরায়েল থেকে কেনা হয়েছে। পুরো বিষয় কমিটি খতিয়ে দেখবে। তিনি বলেন, পুলিশের জন্য কীভাবে মারণাস্ত্র কেনা হয়েছিল, এটা নিয়ে রিপোর্ট হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে। কীভাবে এগুলো কেনা হয়, কীভাবে ব্যবহার করা হয়, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
চলমান সংস্কারের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, গত সপ্তাহে জানানো হয়েছিল, ১২১টি সুপারিশ বাস্তবায়নাধীন। তার মধ্যে ১৬টি ইতিমধ্যে বাস্তবায়ন করা হয়েছে, ১৪টি আংশিক বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং অন্যগুলো বাস্তবায়নাধীন। আজ জানানো হয়েছে, আরও ২৪৬টি আশু সুপারিশ বাস্তবায়নাধীন। তিনি বলেন, নতুন ২৪৬টি সুপারিশের মধ্যে ৮২টি শ্রম সংস্কার বিষয়ে।