ভোটকক্ষে ১০ মিনিটের বেশি অবস্থান করতে পারবেন না সাংবাদিকরা: ইসি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০২৫, ০৫:২০ PM , আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৫, ০৩:২৯ PM
জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকারের সাধারণ ও উপনির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকদের জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (২৩ জুলাই) ইসি সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালা, ২০২৫ জারি করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী, নির্বাচনকালীন সময়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশ, অবস্থান, ও সংবাদ সংগ্রহের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নিয়মকানুন নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, ভোটকক্ষে একসঙ্গে দুইজনের বেশি সাংবাদিক প্রবেশ করতে পারবেন না এবং তারা ১০ মিনিটের বেশি সময় সেখানে অবস্থান করতে পারবেন না। এছাড়া সরাসরি সম্প্রচার, সাক্ষাৎকার গ্রহণ এবং গোপন কক্ষের ছবি তোলার ওপরও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।
ইসির নির্দেশনায় বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের বৈধ পরিচয়পত্রধারী সাংবাদিকরা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। তবে, ভোটকক্ষে প্রবেশের পর প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করে ছবি ও ভিডিও ধারণ করা যাবে। তবে গোপন কক্ষের ভেতরের ছবি বা ভিডিও নেওয়া যাবে না। ভোটকক্ষে সাংবাদিকরা একাধিক মিডিয়ার প্রতিনিধিত্বে একসঙ্গে দুইজনের বেশি প্রবেশ করতে পারবেন না এবং ১০ মিনিটের বেশি অবস্থান করা যাবে না।
আরও পড়ুন: এটিইও নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
সাংবাদিকরা ভোটার, নির্বাচনি কর্মকর্তা বা এজেন্টদের সাক্ষাৎকার নিতে পারবেন না। একইসাথে ভোটকক্ষ বা কেন্দ্রের ভেতর থেকে সরাসরি সম্প্রচার বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ প্রচার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে কেন্দ্রের বাইরে নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে, যাতে ভোটগ্রহণ কার্যক্রমে কোনো বাধা না সৃষ্টি হয়।
এছাড়া টেলিভিশন সাংবাদিকদের প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য সাপোর্ট স্টাফদের বিশেষ কার্ড দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। গণমাধ্যমের গাড়ি ও মোটরসাইকেল ব্যবহারের জন্য স্টিকার প্রদানের নিয়মাবলিও নীতিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করতে হবে। রিটার্নিং অফিসার যাচাই-বাছাই শেষে কার্ড ও স্টিকার প্রদান করবেন। প্রার্থীদের পক্ষ বা বিপক্ষে প্রচার এবং নির্বাচন পরিচালনায় নিয়োজিত কর্মকর্তাদের কাজে হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সতর্ক করে জানিয়েছে, নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের পাশ বাতিলসহ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ নীতিমালা জাতীয় সংসদ, উপজেলা, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন, ইউনিয়ন পরিষদসহ সব ধরনের সাধারণ ও উপনির্বাচনে প্রযোজ্য হবে এবং অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।