১৭তম বিজেএসে সুপারিশপ্রাপ্ত
চূড়ান্ত গেজেট থেকে বাদ পড়লেন জবি শিক্ষার্থী মামুন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:০৯ PM
১৭তম বাংলাদেশ জুডিশিয়ারি সার্ভিস কমিশন (বিজেএস) পরীক্ষায় সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও চূড়ান্ত গেজেটে বাদ পড়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ম ব্যাচের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মামুন হোসেন। এ ছাড়া চুড়ান্ত পর্যায়ে বাদ পড়েছেন মামুনসহ আরও ১৩ প্রার্থী। ভাইভাতে টানা ৪ বার অংশগ্রহণ করে পঞ্চমবার ১৭তম বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিসে (বিজেএস) সুপারিশপ্রাপ্ত সিভিল জজ পদে উত্তীর্ণ হন মামুন। তার রোল ২৩২০ এবং মেধাক্রম ৭৭।
জানা গেছে,২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে ১ হাজার নম্বরের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন করে ২৩ ফেব্রুয়ারি বিজেএসসি মোট ১০২ জনকে সুপারিশ করে। তবে গত ২৭ নভেম্বর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে কেবল ৮৮ জনকে সিভিল জজ (শিক্ষানবিশ) হিসেবে নিয়োগ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করা হয়। বাকি ১৩ জন বাদ পড়েন।
এদিকে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) এর সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্যগত যোগ্যতা, পুলিশ ভেরিফিকেশন, একাডেমিক যাচাই এবং প্রশাসনিক কারণ এই চার ধাপের অতিরিক্ত যাচাই বাছাই শেষে কয়েকজন প্রার্থীকে গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে বাদ পড়া ১৩ জনের বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও গেজেটভুক্ত না হওয়া ১৩ জন হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তানসেনা হোসেন মনীষা, অনিক আহমেদ, মাহমুদুল ইসলাম মুন্না ও গগন পাল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিশাত মনি, নাহিম হাসান, মো. রেজাউল ইসলাম ও সাজ্জাদুল হক। এছাড়াও রয়েছে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদিকুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইমন সৈয়দ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সুব্রত পোদ্দার এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হুমায়রা মেহনাজ।
নিয়োগপ্রত্যাশী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী মামুন হোসেন বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন কর্তৃক বিজেএস পরীক্ষা টানা ৪ চার ভাইবাতে অংশগ্রহণ করে ১৭তম বিজেএস পরীক্ষায় ৭৭তম মেধাক্রমে সুপারিশপ্রাপ্ত হই। আমি স্বাস্থ্য পরীক্ষা, ভেরিফিকেশনসহ সব কিছু যথাযথভাবে সম্পন্ন করেছি। আমার নামে কোনো মামলা নেই। পরিবারেও রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই।
তারপরও আমাকে গেজেটে রাখা হয়নি। কেন বাদ পড়লাম—তা জানি না। আমার পরিবার শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। স্বপ্নের চাকরিতে সকলের সাথে জয়েন করার যে আনন্দ ও গৌরব তা থেকে আমরা চিরদিনের জন্য বঞ্চিত হচ্ছি।’