‘সুপার এডিট করে ফোনালাপের একাংশ প্রকাশ করা হয়েছে’
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ২৬ জুলাই ২০২১, ০৮:০৭ PM , আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২১, ০৮:০৭ PM
রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং একজন অভিভাবকের ফোনালাপ ফেসবুকে ফাঁস হয়েছে। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের মধ্যে আলোচনার ঝড় শুরু হয়।
ফোনালাপের সময় অধ্যক্ষ কামরুন নাহার কথা বলার একপর্যায়ে অভিভাবক মীর সাহাবুদ্দিন টিপুকে বলেন, ‘আমি বালিশের নিচে পিস্তল রাখি। কোনও ... বাচ্চা যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগবো, আমি শুধু ভিকারুননিসা না, আমি দেশছাড়া করবো।’
পুরো ৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের ওই ফোনালাপে অভিভাবক টিপু ঠান্ডা মাথায় কথা বললেও অধ্যক্ষ ছিলেন উত্তেজিত। তবে কেন কী কারণে অধ্যক্ষ উত্তেজিত তা ফোনালাপে স্পষ্ট নয়।
ফোনালাপের ব্যাপারে অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুন নাহার গণমাধ্যমকে বলেন, সুপার এডিট করে ফেসবুকে ফোনালাপের একাংশ প্রকাশ করা হয়েছে। অভিভাবক মীর সাহাবুদ্দিন টিপু শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবেদন জানিয়েছিল। আমি ভর্তি করাইনি। করোনার মধ্যে প্রায় ৪০ জন অভিভাবক নিয়ে এসে তাদের বিভিন্ন দাবি তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। আমি করোনা পরিস্থিতি স্থিতিশীল হলে অফিসে দেখা করতে বলেছিলাম। আমাকে অভিভাবক টিপু আল্টিমেটাম দিয়ে চলে যান। প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে কিনা তা যাচাইয়ে শিক্ষা প্রকৌশলকে লিখিত দিয়েছিলাম। সেটির তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ভর্তি বাণিজ্য, উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতি ও শিক্ষকদের সঙ্গে অশালীন আচরণের কারণে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এসব কারণে আমারে সরিয়ে দিতে তারা পরিকল্পনা করেই এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষকদের বেতন অর্ধেক করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি (টিপু)। গভর্নিং বডির সদস্যদের কেউ কেউ শিক্ষকদের অসম্মান করেন। এসব প্রতিবাদ করায় পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে লেগেছেন।
অধ্যক্ষের সঙ্গে অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর মধ্যে চলা ওই কথোপকথনে কামরুন নাহার বলেন, লকডাউনের মধ্যে আমি অফিস করি কি না করি কার বাপের কী? আমি রাজনীতি করা মেয়ে, আমি কিন্তু ভদ্র না।
কামরুন নাহার ফোনালাপে আরও বলেন, আমি বলে দিলাম, আমি শিক্ষক। আমি প্রিন্সিপাল। ওই ... পোলা যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু তার গোষ্ঠী উদ্ধার করে ছাড়বো।
প্রসঙ্গত, গত ২২ মার্চ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতির কাছে অভিভাবক ফোরামের পক্ষে উপদেষ্টা মীর সাহাবুদ্দিন টিপু এবং সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রহিম হাওলাদার রানার স্বাক্ষরে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুরোধ জানানো হয়। প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য করা আবেদনে বলা হয়, গভর্নিং বডির সদস্যদের আত্মীয়-স্বজনদের কিছু অনুরোধ আছে।